—ফাইল চিত্র।
পার্শ্বশিক্ষকদের উপর পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে বিরোধীদের আনা মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত হল না বিধানসভায়। একই দিনে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানালেন, গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিএসডিপি) নিরিখে বাংলা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। তা হলে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বা পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর দাবি তুলে হয়রান হতে হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হল বিরোধীরা।
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চত্রবর্তী মঙ্গলবার মুলতুবি প্রস্তাব এনে বলেন, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের পুলিশ যে ভাবে মারধর করেছে, তাতে গোটা শিক্ষক সমাজ আহত হয়েছে। এমনকি, ওই ঘটনায় মহিলাদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি বলে সুজনবাবুর অভিযোগ। এর পরে মাইক বন্ধ হয়ে গেলেও প্রস্তাবটি পাঠ করতে থাকেন সুজনবাবু। শেষে বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করা এ নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভার কক্ষ ত্যাগ করেন। বাইরে সুজনবাবু বলেন, ‘‘পার্শ্বশিক্ষক, এসএসকে, এমএসকে কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারবে না! এই সরকার যে স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাচ্ছে, তা কেন্দ্রের সরকারকে মদত দিচ্ছে।’’
প্রশ্নোত্তর পর্বে এ দিনই অর্থমন্ত্রী অমিতবাবু বলেন, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে জিএসডিপি বৃদ্ধির হার সব চেয়ে বেশি। এমনকি, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসা প্রকল্পের প্রস্তাব রূপায়ণের অঙ্ক ২০১৭-১৮ সালে ছিল ২৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। গত ২০১৮-১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৬ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ৪৩%। অর্থমন্ত্রীর দেওয়া এই অঙ্কে ভুল রয়েছে বলে সভায় সরব হন সুজনবাবু। পরে সরকারি তরফে শতাংশের হিসেব সংশোধন করে সব পরিষদীয় দলের কাছে পাঠানো হয়।
অর্থমন্ত্রীকে কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী প্রশ্ন করেন, ‘‘দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জিএসডিপি যদি বেশি হয়, তা হলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া হচ্ছে না কেন? বেতন কমিশন চালু হচ্ছে না কেন? অন্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের কর্মীদের বেতন কমই বা কেন? পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনই বা বাড়ানো হচ্ছে না কেন?’’ মনোজবাবুর এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে পরে ভাববেন। মনোজবাবুর প্রশ্নের সঙ্গে সহমত ব্যক্ত করেন সুজনবাবুও।
জেলায় জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়েও মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল কংগ্রেস। বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠকে এ দিন বিষয়টি তোলাও হয়। কিন্তু তা নাকচ হওয়ায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘শুক্রবারের মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা না হলে সরকারের সঙ্গে সব রকমের অসহযোগিতা করব। প্রতিদিনই ডেঙ্গি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব রাখব। আলোচনা না হলে ধন্যবাদ জ্ঞাপনেও থাকব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy