Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

ঢাল জিএসটি, মোদীকে আক্রমণ বিধানসভায়

সারা দেশে জিএসটি চালু হওয়ার মাসখানেক পর চর্চা এখন নতুন কর কাঠামোয় লাভ-ক্ষতির অঙ্ক নিয়ে। আর সেই সূত্র ধরেই দেশে ‘আর্থিক জরুরি অবস্থা’ জারির জন্য এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৯
Share: Save:

উপলক্ষ জিএসটি বিল, লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদী।

সোমবার রাজ্য বিধানসভায় পেশ হল জিএসটি বিল। রাজ্য আগেই অধ্যাদেশ জারি করে জিএসটি চালু করেছে। ফলে বিল পেশ ছিল নিতান্তই রুটিন ব্যাপার। কিন্তু সারা দেশে জিএসটি চালু হওয়ার মাসখানেক পর চর্চা এখন নতুন কর কাঠামোয় লাভ-ক্ষতির অঙ্ক নিয়ে। আর সেই সূত্র ধরেই দেশে ‘আর্থিক জরুরি অবস্থা’ জারির জন্য এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। একা কুম্ভ ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, মঙ্গলবার জবাবি ভাষণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যুক্তি সাজাবেন এই বিলের ‘ভালো-মন্দ’ নিয়ে।

এ দিন বিতর্ক শুরুর আগেই অমিতবাবু সরকার পক্ষের বক্তাদের ডেকে ক্লাস নেন। কী ভাবে জিএসটি-র বিরোধিতা করতে হবে তা জানিয়ে দেন ওই কর প্রস্তাবের খুঁটিনাটি ঠিক করা এমপাওয়ার্ড কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান। সরকার পক্ষের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় বলেন, ‘‘বড্ড তাড়াহুড়ো করে জিএসটি চালু হল। ১৭ হাজার পণ্যের তালিকা, বছরে ৩৬০০ কোটি রিটার্ন দাখিল এ কী চাট্টিখানি কথা! প্রস্তুতির জন্য আরও কিছুটা সময় নিলে ক্ষতি কী ছিল।’’

তাপসবাবুর দাবি, জিএসটি চালুর পর বহু সংস্থার বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বেশ আধুনিক মানুষ হিসাবে তুলে ধরতে চান। আসলে তিনি মধ্যযুগীয় চিন্তাধারার মানুষ। দেশে আর্থিক একাত্মতা চালু করতে গিয়ে তিনি আসলে কর ব্যবস্থায় অসাম্য নিয়ে আসছেন। বড় লোকেরা লাভবান হবেন। মার খাবেন গরিবরা।’’

সিপিএমের আনিসুর রহমানের মতে, জিএসটির পরিণাম কী, তা সময় বলবে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টচার্য জিএসটি বিল সমর্থনের কথা জানিয়েও বেশ কিছু সামগ্রীর কর কমানোর দাবি করেন। মিষ্টি তার অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে দ্রুততার সঙ্গে এই বিল চালু করেছেন, তারও সমালোচনা করেন চন্দ্রিমা।

মোদীর হয়ে ব্যাট ধরেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘১৩ বছর ধরে জিএসটি নিয়ে আলোচনা চলছে আর কত সময় চান? এই কর সংষ্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই বাঙালি— অসীম দাশগুপ্ত আর অমিত মিত্র। আজ এই বিলে বাংলার কৃতিত্ব দাবি করার কথা। অথচ অভ্যাসবশত বিরোধিতা করে দেশের মধ্যে সবার শেষে এই বিল রাজ্যে পাশ হচ্ছে।’’ দিলীপবাবুর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ উপভোক্তা রাজ্য। ফলে জিএসটিতে সবচেয়ে বেশি লাভ অমিতবাবুরই। তা সত্ত্বেও রাজনীতির স্বার্থে তিনি এখনও নতুন কর ব্যবস্থার বিরোধিতা করছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy