ফাইল চিত্র
প্রথম ইদ্রিশ আলি, ৯৩.১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় কাকলি ঘোষদস্তিদার, ৯১.৯৬ শতাংশ।. তৃতীয় স্থানে সন্ধ্যা রায়, ৯০.৯৫ শতাংশ। রাজ্যের সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচে তৃণমূলের এই তিন সাংসদই সব থেকে এগিয়ে। দশরথ তিরকেরও স্কোর ৯০ শতাংশের উপরে। উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচে পিছিয়ে রয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদেরা। বিরোধীরা এর জন্য জেলা প্রশাসনের অসহযোগিতাকেই দায়ী করছেন।
প্রত্যেক সাংসদ তাঁর এলাকার উন্নয়নে ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা পান। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া আজ সেই তহবিলের টাকা খরচের পর্যালোচনায় বসেছিলেন। বৈঠকের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২ জন লোকসভা সদস্যের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।
তাঁর তহবিলের মাত্র ৪৬.৯৮ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। অহলুওয়ালিয়া বলছেন, ‘‘তৃণমূল সাংসদদের ৯০ শতাংশ তহবিল খরচ হচ্ছে কেন জানেন? ওঁদের টাকা খরচের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। পরের কিস্তি মঞ্জুর না হওয়ায় কাজ আটকে যাচ্ছে।’’ অহলুওয়ালিয়ার অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে একটা বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও গাফিলতি খুঁজে বার করা হচ্ছে। কংগ্রেস ও বাম সাংসদদেরও একই অভিযোগ।
তৃণমূলে পিছনের সারিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের উমা সোরেন। দীর্ঘদিন জেলে বা অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাপস পালের উন্নয়ন তহবিলের ৮৬ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। তাপস বলেন, ‘‘জেলাশাসক, স্থানীয় বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান সকলে সহযোগিতা করেছেন। সঙ্গে কৃষ্ণনগরের কিছু মানুষ।’’ ইদ্রিশের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই তিনি এই কাজ করতে পেরেছেন। আর কাকলির যুক্তি, ‘‘এলাকার সমস্ত বুথে ঘুরি। কোথায় কী চাহিদা রয়েছে, দেখতে পাই।’’ বিরোধীদের অভিযোগে তাঁর জবাব, ‘‘কাজে নজরদারি করতে হয়। লেগে থেকে কাজ করাতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy