Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

উন্নয়নে পিছিয়ে বিরোধী সাংসদেরা

পশ্চিমবঙ্গের ৪২ জন লোকসভা সদস্যের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। তাঁর তহবিলের মাত্র ৪৬.৯৮ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৬
Share: Save:

প্রথম ইদ্রিশ আলি, ৯৩.১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় কাকলি ঘোষদস্তিদার, ৯১.৯৬ শতাংশ।. তৃতীয় স্থানে সন্ধ্যা রায়, ৯০.৯৫ শতাংশ। রাজ্যের সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচে তৃণমূলের এই তিন সাংসদই সব থেকে এগিয়ে। দশরথ তিরকেরও স্কোর ৯০ শতাংশের উপরে। উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচে পিছিয়ে রয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদেরা। বিরোধীরা এর জন্য জেলা প্রশাসনের অসহযোগিতাকেই দায়ী করছেন।

প্রত্যেক সাংসদ তাঁর এলাকার উন্নয়নে ৫ বছরে ২৫ কোটি টাকা পান। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া আজ সেই তহবিলের টাকা খরচের পর্যালোচনায় বসেছিলেন। বৈঠকের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২ জন লোকসভা সদস্যের মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।
তাঁর তহবিলের মাত্র ৪৬.৯৮ শতাংশ অর্থ খরচ হয়েছে। অহলুওয়ালিয়া বলছেন, ‘‘তৃণমূল সাংসদদের ৯০ শতাংশ তহবিল খরচ হচ্ছে কেন জানেন? ওঁদের টাকা খরচের শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। পরের কিস্তি মঞ্জুর না হওয়ায় কাজ আটকে যাচ্ছে।’’ অহলুওয়ালিয়ার অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে একটা বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও গাফিলতি খুঁজে বার করা হচ্ছে। কংগ্রেস ও বাম সাংসদদেরও একই অভিযোগ।

তৃণমূলে পিছনের সারিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের উমা সোরেন। দীর্ঘদিন জেলে বা অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাপস পালের উন্নয়ন তহবিলের ৮৬ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ হয়েছে। তাপস বলেন, ‘‘জেলাশাসক, স্থানীয় বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান সকলে সহযোগিতা করেছেন। সঙ্গে কৃষ্ণনগরের কিছু মানুষ।’’ ইদ্রিশের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই তিনি এই কাজ করতে পেরেছেন। আর কাকলির যুক্তি, ‘‘এলাকার সমস্ত বুথে ঘুরি। কোথায় কী চাহিদা রয়েছে, দেখতে পাই।’’ বিরোধীদের অভিযোগে তাঁর জবাব, ‘‘কাজে নজরদারি করতে হয়। লেগে থেকে কাজ করাতে হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Parliament MPLAD BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE