হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ফাইল চিত্র
জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। কারণ, দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক জন বিরোধী প্রার্থীর কাছে হুমকি এসেছিল। না, প্রাণনাশের নয়। বরং বলা হয়েছিল, মনোনয়ন না ফেরালে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। জেলে যাওয়ার ভয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহারে করে নেন সিপিএমের দুই প্রার্থী। মঙ্গলবার তাঁদের মামলা ওঠে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারীদের আবেদন শুনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলাদা দু’টি আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন শ্যামল মণ্ডল এবং রেশমা অঙ্কুজি। তাঁদেরই ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে আদালতকে জানিয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবী শামিম আহমেদ। মামলাটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য উঠেছিল প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ‘‘মামলাকারীদের অভিযোগ নিরপেক্ষ ভাবে খতিয়ে দেখতে হবে কমিশনকে। এর জন্য তাদের একটি দল গঠন করতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অনুসন্ধান রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে কমিশনকে।’’ আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক অশান্তির খবর এসেছে দুই ২৪ পরগনা থেকে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তির জেরে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিরোধীরা। পরে কমিশনও জানায় ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে অশান্তির জেরে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। মঙ্গলবার আবার মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে হুমকির ঘটনা প্রকাশ্যে এল। আর এ বারও অশান্তির অভিযোগ এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেই। যে জেলার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ স্বয়ং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy