দুর্গাপুরের আদালতে হাজির করানো হয়েছে ধৃত হারেজকে। — নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গি যোগে আরও এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল রাজ্য এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স)। মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে হারেজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর শাখা ‘শাহাদত’ সংগঠনের সদস্য মহম্মদ হাবিবুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। হাবিবুল্লাহকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া যুবককে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সেখানে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করছেন তদন্তকারীরা।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত হারেজের বয়স ২৭ বছর। বাড়ি নদিয়ার নবদ্বীপে। তদন্তকারীরা হারেজের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। পানাগড়ের হাবিবুল্লার সঙ্গে তাঁর কী যোগ রয়েছে, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখতে চাইছেন।
এর আগে জঙ্গিযোগে কাঁকসার পানাগড় থেকে গ্রেফতার হন হাবিবুল্লাহ। ঘটনাচক্রে, পানাগড়েই ভারতীয় স্থলসেনা ও বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘আনসার আল ইসলাম’ নামে একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বাংলাদেশে। ‘আল কায়দা’র সঙ্গেও ‘আনসার আল ইসলাম’-এর যোগ রয়েছে। বাংলাদেশেও সক্রিয় সেটি। সেই সংগঠনেরই একটি শাখা ‘শাহাদত’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হাবিবুল্লাহ। তাঁর বিরুদ্ধে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকসা থানায় মামলা রুজু করা হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী আইনের (ইউএপিএ) ধারায় মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
গত শনিবার বিকেলে কাঁকসা থানার পানাগড়ের মীরেপাড়ার একটি বাড়িতে কাঁকসা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান এসটিএফের আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয় হাবিবুল্লাহকে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, হাবিবুল্লাহ মানকর কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁর বাড়ি থেকে কিছু সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়। হাবিবুল্লাকে প্রথমে আটকে কাঁকসা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy