সেনার চাকরি থেকে ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারই মধ্যে গত শনিবার এসেছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর সভায়। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের বাড়ি থেকে সৈয়দ আলমগির হোসেন নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।
গত শনিবার বিকেলে আইএসএফ এবং কলকাতা পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে ধর্মতলায়। ওই দিন কলকাতায় সভা ছিল আইএসএফের। ওই বিক্ষোভে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। টেনেহিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলার অভিযোগ ওঠে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশের উপর পাল্টা আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার এরোয়ালি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আলমগিরকে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের আলমগির ‘টেরিটোরিয়াল আর্মি’র ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্টের হাবিলদার। মঙ্গলবার এরোয়ালি গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
-
‘গ্যাংস অব ভাঙড়’ সামলাতে তটস্থ পুলিশ, প্রশাসনের কাছে ‘না’ শুনতে হল তৃণমূলকেও
-
টেস্টে বাংলাদেশের সামনে নতুন প্রতিপক্ষ, শাকিবরা খেলবেন একগুচ্ছ ম্যাচ
-
‘ইয়ার্কি হচ্ছে’ পড়ুয়াদের নিয়ে! এসএসসিকে ভুল শোধরানোর জন্য সাত দিন সময় দিলেন বিচারপতি
-
মোদীর নির্দেশই সার, পুণেতে বজরং দলের নেতৃত্বে ছেঁড়া হল ‘পাঠান’-এর পোস্টার
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আদতে আলমগিরের বাড়ি বর্ধমানে। তবে খড়গ্রামেও তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। আলমগির গুজরাতে কর্মরত। ২ মাসের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়ি এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার মাঝেই ধর্মতলার ঘটনায় গ্রেফতার হতে হল। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার ধর্মতলায় ধুন্ধুমারের পর হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে আলমগিরকে। এ প্রসঙ্গে আলমগীরের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ‘‘রাতে কলকাতা থেকে এসে স্বামীকে নিয়ে গিয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।’’