পার্টি অফিসে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে প্রতিবাদ সভা করতে চেয়েছিল তৃণমূল। —ফাইল চিত্র।
দলীয় কার্যালয়ে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে প্রতিবাদ সভা করতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার প্রশাসনের নির্দেশ, আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোনও জমায়েত করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল।
হাতিশালায় তৃণমূলের ৩টি পার্টি অফিসে ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর অভিযোগে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)কে দুষেছে তৃণমূল। ওই ঘটনায় এখনও ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। গত কয়েক দিন ধরেই শাসক দল এবং আইএসএফের ঝামেলায় তপ্ত ভাঙড়। গত শনিবার কলকাতার সভা থেকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির পর সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। তবে আইএসএফের বিরুদ্ধে যাবতীয় অশান্তির অভিযোগ করে বুধবার, ২৫ জানুয়ারি পাকাপোল থেকে হাতিশালা পর্যন্ত ‘প্রতিবাদ মিছিল’ হবে বলে ঘোষণা করে তৃণমূল। স্থানীয় নেতারা জানান, তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর এবং তাঁদের কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে একটি মিছিল এবং সভা করবেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন জানিয়ে দিল, এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোনও রাজনৈতিক সভা করা যাবে না।
পুলিশের এই নির্দেশ আসার পর মঙ্গলবার বিকেলে ‘জমি জীবিকা রক্ষা কমিটি’ও তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। প্রায় ৪ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে রেখেছিলেন ওই আন্দোলনকারীরা।
অন্য দিকে, পুলিশের নির্দেশের পর ভাঙড়ের আরাবুল ইসলামের ছেলে তথা যুব তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘সবে মাত্র প্রশাসনের নির্দেশ পেয়েছি। আমাদের রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করব আমরা।’’
গত কয়েক দিন ধরে এই তৃণমূল (পড়ুন আরাবুল বাহিনি) বনাম আইএসএফ (পড়ুন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি)-এর নেতাকর্মীদের বার বার ঝামেলায় জড়ানো, ভাঙচুর এবং হিংসার ঘটনা মনে করাচ্ছে ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ সিনেমার গল্পকে। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ওই ছবির ঘটনা আবর্তিত কয়লা খনিকে কেন্দ্র করে। তিনটি দলের রেষারেষি চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। ঘটতে থাকে একের পর এক সংঘর্ষ এবং হিংসার ঘটনা।
গত শনিবার ধর্মতলায় পুলিশ এবং আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলাটি করেছেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান করা হোক। আইএসএফ কর্মীদের উপর বেপরোয়া ভাবে লাঠি চালানো, বিনা উর্দিতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা লাঠি চালিয়েছে বলে হলফনামায় দাবি করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy