—প্রতীকী ছবি।
হাওড়ায় এক ছ’বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে খুঁজছিল পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে শেষ পর্যন্ত এরশাদ মালি নামে সেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয় উলুবেড়িয়া থেকে। কিন্তু অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরে পুলিশ জানতে পারে, সে এর আগেও এই বয়সি একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করে। কিন্তু সে যাত্রায় মেয়েটি বেঁচে যায়। যুবক গ্রেফতারও হয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পায়। এ বারের ধর্ষণ ও খুন তার পরের ঘটনা।
শনিবার হাওড়ার একটি গ্রামে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় ছ’বছরের শিশুকন্যাটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন বিকেলে মেয়েটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তার পরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।
ধৃতের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ জানায়, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে নতুন তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy