আসানসোল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন বিধান উপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
আসানসোল ও বনগাঁ পুরসভার একটি করে ওয়ার্ডে উপনির্বাচন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আসানসোল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ দাস প্রয়াত হয়েছেন। তাই এই দুই ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটের মনোনয়ন দাখিল শুরু হয়ে গেল বৃহস্পতিবার থেকেই। চলবে ৩ অগস্ট পর্যন্ত। ৪ তারিখ ভোটের স্ক্রুটিনির দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। ৬ অগস্ট মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
ভোটগ্রহণ হবে ২১ অগস্ট। ফলাফল ঘোষণা হবে ২৬ অগস্ট। আসানসোল পুরনিগম তৃণমূল শিবিরের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল পুর নিগমের ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা গিয়েছিল ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯১টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কিন্তু ২ মার্চ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির বৈঠক শেষে জানানো হয় মেয়র হবেন ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা বারাবনির বিধায়ক। সঙ্গে ঘোষণা করা হয় দু’জন ডেপুটি মেয়রের নাম।
তৃণমূলের একটি সূত্র জানায়, বিধানকে মেয়র করার পিছনে ছিল আসানসোল তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। আসানসোলের মেয়র হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন আটবারের কাউন্সিলর অমর চট্টোপাধ্যায়। ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী এই তৃণমূল নেতাকে চেয়ারম্যান পদ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এ ছাড়া আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই প্রাক্তন মেয়র পারিষদ অভিজিতের সঙ্গে কুলটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমানে শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা অশোক রুদ্রের নামও ভেসে উঠেছিল মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে। অমিতাভ বসু ও তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও মেয়র পদের দৌড়ে ছিল। মন্ত্রীর ভাইয়ের হয়ে আবার আসানসোলের তিনজন বিধায়ক ও কয়েকজন নবনির্বাচিত কাউন্সিলরও পৃথকভাবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি লিখে মেয়র করার আবেদন জানিয়েছিলেন। মেয়র পদের এত দাবিদার দেখেই ভোটে না লড়া বিধানকেই মেয়র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
আর তাতেই আসানসোল পুরসভার একটি ওয়ার্ড থেকে বিধানকে জিতিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।তাই পদত্যাগ করেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয়। আর ওই ওয়ার্ডেবিধানের প্রার্থী হওয়া এখন কেবল মাত্র ঘোষণার অপেক্ষা। যে হেতুপুরনির্বাচনে লড়ে কাউন্সিলর হিসাবে জিতে আসেননি বিধান, তাই নিয়ম অনুযায়ী, মেয়র পদে শপথ নেওয়ার ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে।
আসানসোলের সঙ্গেই কাউন্সিলরের মৃত্যুর কারণে ভোট হবে বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy