—নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন রাহুল গাঁধী। বাংলার কংগ্রেস নেতৃত্বও কেন একই কারণে পদ ছাড়বেন না, সেই প্রশ্ন উঠেছিল দলের একাংশে। সেই প্রশ্ন সামনে রেখেই এ বার প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে বৃহস্পতিবার পাঠানো পদত্যাগপত্রে ওমপ্রকাশবাবু দাবি জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের দায় স্বীকার করে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব পদত্যাগ করেননি। ‘ভারাক্রান্ত মন’ নিয়ে তিনিই অন্যতম সহ-সভাপতির পদ ত্যাগ করছেন। ওমপ্রকাশবাবুর বক্তব্য, লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির সম্মতি সত্ত্বেও প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে পারেনি। তার ফলে সুবিধা পেয়েছে বিজেপি। আবার বিজেপি এখন শক্তিশালী হয়ে ওঠার পরে কংগ্রেসের কৌশলী পদক্ষেপ করা উচিত। তাঁর মতে, বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস চলতেই পারে কিন্তু এখন তৃণমূলকে ওই বৃত্তের বাইরে রাখা যাবে না। তা না হলে তৃণমূল-বিরোধিতার সুযোগ বিজেপি পেয়ে যেতে পারে। সোমেনবাবুরা অবশ্য পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন, এখন তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস সমঝোতার রাস্তায় হাঁটলে বিরোধী পরিসরে আরও জাঁকিয়ে বসে মেরুকরণের ফায়দা বেশি করে বিজেপিই পাবে।
ওমপ্রকাশের ইস্তফার দিনেই বিধান ভবনে সোমেনবাবুর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা নিয়েছেন কলকাতার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসিম ও শাসক দলের বেশ কিছু কর্মী। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি ও তৃণমূলের অপশাসনে যাঁরা ‘বীতশ্রদ্ধ’, তাঁদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সোমেনবাবু এ দিনও বলেছেন, ‘‘যাঁরা কোনও কারণে কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা সসম্মান ফিরে আসুন। বিধান ভবনের দরজা খোলাই আছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy