Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
State News

সিএএ-বিক্ষোভে জট শৌচ প্রকল্পে

রাজ্যের ৫২টি পুরসভাকে উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত (ওডিএফ) করার কাজ শেষ করতে প্রথমে সময়সীমা ধার্য হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:০২
Share: Save:

লক্ষ্যপূরণে বাদ সাধল সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আবহ! মাঝপথেই থমকে গেল সমীক্ষা। ফিরল সমীক্ষকদল।

রাজ্যের ৫২টি পুরসভাকে উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত (ওডিএফ) করার কাজ শেষ করতে প্রথমে সময়সীমা ধার্য হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। পরে তা বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর করা হয়। তৃতীয় দফায় সেটা আরও ১৬ দিন বাড়িয়ে করা হয় ৩১ ডিসেম্বর। তাতেও লক্ষ্যপূরণ হয়নি। তাই মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হয়েছে।

কেন এমন হল?

বিভিন্ন পুর এলাকার উন্মুক্ত শৌচ মুক্তির কাজে অগ্রগতির হাল খতিয়ে দেখতে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক নিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা ডিসেম্বরের শুরুতে রাজ্যে এসেছিলেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসূচি শুরু হয়। তা নিয়ে বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয় কয়েকটি জেলায়। সেই পরিস্থিতি সমীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনুকূল ছিল না বলে ওই সংস্থার দাবি। তাই আংশিক সমীক্ষা করেই দিল্লি ফিরে যায় তারা।

আরও পড়ুন: ‘দেশ মেরামতের রাস্তায়’ নিদ্রাহীন প্রতিবাদীরা

উন্মুক্ত শৌচ মুক্তির জন্য ২.৯৮ লক্ষ শৌচাগার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তার মধ্যে প্রায় ৩২ হাজারের পরিকাঠামো নির্মাণ বাকি। ১৪ হাজারের পরিকাঠামো নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কার্যত ওই সমীক্ষক সংস্থার উপরে ওডিএফ পর্বের ‘পাশ-ফেল’ নির্ভরশীল বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। কারণ, ওই সংস্থা শুধু উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত পুরসভায় সমীক্ষা করেই ক্ষান্ত হবে না। রাজ্যের ৭০টি পুরসভা নিজেদের উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় মাপকাঠিতে সেই দাবি যথাযথ কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে সমীক্ষক সংস্থা।

এখন আর কোনও সমস্যা নেই বলে মনে করছেন সমীক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেই জন্য দু’-এক দিনের মধ্যে তাঁরা রাজ্যে এসে ফের সমীক্ষা শুরু করবেন। ওই সংস্থার সঙ্গে বাংলার প্রশাসনিক কর্তাদের কথা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, ওই সংস্থা ডিসেম্বরের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করলে হয়তো লক্ষ্যপূরণের পথে কিছুটা এগোনো যেত।

কেন্দ্রীয় সমীক্ষক সংস্থাকে তথ্য দিতে গিয়ে যাতে রাজ্যের কোনও পুরসভা সমস্যায় না-পড়ে, তাই আগেভাগেই সব কিছু খতিয়ে দেখছে রাজ্যের নিযুক্ত একটি সমীক্ষক সংস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, দু’-একটি পুরসভার ক্ষেত্রে সমীক্ষকেরা নথিপত্র ঠিকঠাক পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে পুরসভার উদাসীনতাই কাজ করছে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের অভিমত। অথচ উন্মুক্ত শৌচ মুক্তির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নভেম্বরের গোড়ায় ১২৫টি পুরসভার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

অন্য বিষয়গুলি:

Open Defecation Free ODF CAA NRC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy