ফাইল চিত্র।
সুন্দরবনে পর্যটকদের আকর্ষণ মূলত সজনেখালিকে ঘিরে। কিন্তু বন দফতরের বাঘশুমারির রিপোর্ট বলছে, সজনেখালিতেই গত তিন বছরে বাঘের সংখ্যা (১৪ থেকে ১০) কমেছে। ডোরাকাটার সর্বাধিক বৃদ্ধি বাংলাদেশ লাগোয়া এলাকা সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের প্রান্তে (১৬ থেকে ২৪)। পর্যটকের চাপে বাঘেরা আরও গভীর অরণ্যে সরে যাচ্ছে কি না, উঠছে প্রশ্ন।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের বসিরহাট রেঞ্জে আগের সমীক্ষার তুলনায় পাঁচটি বাঘ বেড়েছে। বনকর্তাদের অভিমত, সজনেখালির বাঘেরা বসিরহাট রেঞ্জে সরে যেতে পারে। তাই সজনেখালিতে চারটি কমলে বসিরহাটে পাঁচটি বেড়েছে। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই ভালবাসে বাঘ। তাই নিরুপদ্রব জায়গায় সরে যাওয়া অসম্ভব নয়।
বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বাঘশুমারির রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের হিসেবে ২০১৬-১৭ সালের থেকে ২০১৯-২০ সালে গোটা সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা (৮৭ থেকে ৯৬) বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ২০১৮-১৯ সালের সমীক্ষায় ৮৮টি বাঘের কথা বলা হয়েছিল। সেই হিসেবে এক বছরে বেড়েছে আটটি। বন দফতর জানায়, এ বার ৭১৪ জোড়া ক্যামেরা-ফাঁদ পেতে গণনায় অনেক নিখুঁত তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
পৃথিবীতে সুন্দরবনই একমাত্র ম্যানগ্রোভ অরণ্য, যেখানে বাঘের বাস। সেখানে বাঘ বাড়ায় আনন্দিত বন্যপ্রাণপ্রেমীরা জানান, সংখ্যা বৃদ্ধি সফল সংরক্ষণেরই প্রমাণ। এ বার নিরাপত্তা, ব্যয়বরাদ্দও বাড়াতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy