শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের আসন সংরক্ষণের খসড়া প্রকাশ করা হতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সর্বদল বৈঠক না ডেকে তড়িঘড়ি ওই খসড়া কেন প্রকাশ করা হল সেই প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। বাম দলগুলির সন্দেহ, বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে ওই তালিকা তাড়াহুড়ো করে প্রকাশ করা হয়েছে। কংগ্রেসও একই সন্দেহ করছে। উভয় দলই জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে যথাস্থানে আপত্তি জানাবে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে খসড়া তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়ার রাস্তা খোলার রাখার দাবি তুলেছে বাম ও কংগ্রেস। দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনীত যাদব বলেন, “খসড়া তালিকা প্রকাশের পরেই সর্বদল বৈঠক হয়। বৈঠক হওয়ার পরে অভিযোগ জানানোর আরও পাঁচ দিন সময় পাওয়া যাবে।” জেলার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে ইতিমধ্যে সর্বদল বৈঠকের নোটিশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। জেলাশাসক জানান, আগামীকাল, শুক্রবার প্রশাসন সর্বদল বৈঠক ডেকেছে।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের চলতি বোর্ডের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগামী ২০ জুলাই। পরিষদের আওতায় ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৪টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং মহকুমা পরিষদের ৭টি আসন রয়েছে। গত সপ্তাহেই আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনগুলির খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন দফতরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খসড়া তালিকা নিয়ে আপত্তি-অভিযোগ জানানো যাবে। প্রথমে ২৪ এপ্রিল অভিযোগ জানানোর শেষ দিন বলে ঘোষণা করা হয়। তা নিয়ে আপত্তি জানায় কংগ্রেস ও সিপিএম। এই অবস্থায় সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে প্রশাসন।
সিপিএমের দাবি, খসড়া তালিকা প্রকাশের আগেই সর্বদল বৈঠক করার উচিত ছিল। সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরুর পরে একাধিকবার সর্বদল বৈঠক ডাকা হবে, এটাই রেওয়াজ। খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে সর্বদল বৈঠক হলে, তালিকা তৈরির আগেই দলগুলি নিজেদের মতামত জানাতে পারত।” কংগ্রেসের দার্জিলিং লোকসভার প্রার্থী সুজয় ঘটক বলেন, “খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগেই তা ডাকা দরকার ছিল। যাই হোক, বৈঠকে আমরা যে আপত্তি জানাব। সেগুলি যথাযথভাবে প্রতিফলিত না হলেই বুঝতে হবে যে সব সন্দেহ দানা বেঁধেছে তা অমূলক নয়।”
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব মনে করেন, লোকসভা বোট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে খসড়া তালিকা প্রকাশ হলে ভাল হতো। তাঁর মতে, “এখন লোকসভা ভোটের আচরণবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। সে জন্য সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে মহকুমা পরিষদের ভোটের প্রস্তূতি নেওয়া উচিত ছিল।” তবে তাঁরা মহকুমা পরিষদের ভোটের জন্য প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন গৌতমবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy