স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে যুব আবাস তৈরি রুখতে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন মালদহের ক্রীড়বিদরা।
সোমবার পাঁচ হাজার পঞ্চাশ জন বাসিন্দার সাক্ষরিত একটি স্বারকলিপি জেলার ক্রীড়াবিদেরা জেলাশাসকের হাতে তুলে দেন। এ দিন দুপুর তিনটে বিকেল পাঁচটা পযর্ন্ত স্পোর্টস কমপ্লেক্স বাঁচাও কমিটির সদস্যরা জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও করেন। জেলার ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন সিপিএমের বিধায়ক খগেন মুর্মু , প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষ প্রমুখ।
মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠের পাশে রাজ্যের ক্রীড়া দফতর একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার ছেলেদের খেলাধূলো করার স্বার্থে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠ লাগোয়া ৮.০৪৫ একর জমি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জন্য রাজ্য ক্রীড়া দফতরকে হস্তান্তর করে। এর পরে ক্রীড়া দফতর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের জন্য প্রথম দফায় পাঁচিলের জন্য ২০ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। যা দিয়ে পাঁচিলের কাজ শেষ হয়েছে।
এ দিকে প্রস্তাবিত ওই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে যুব আবাস তৈরির কাজ শুরু হতেই জেলা ক্রীড়াবিদরা হতাশ হয়ে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এতে ওই মাঠের ৪০০ মিটার ট্র্যাকের ক্ষতি হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সরকার বলেন, “প্রস্তাবিত স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে যুব আবাস তৈরির কোনও পরিকল্পনা ছিল না। অথচ প্রস্তাবিত স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ নষ্ট করে ওই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে যুব আবাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে পথে নেমেছি। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে যুব আবাস তৈরির কাজ বন্ধ করতে জেলাশাসকের কাছে আজকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।” জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “গোটা বিষয়টি অতিরিক্ত জেলাশাসক দেখছেন।”
এ দিকে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নিয়ে এই আন্দোলনে রাজনীতি দেখছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শুভেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “স্পোর্টস কমপ্লেক্স ৪০০ মিটার ট্র্যাকের কোনও অসুবিধা হবে না। আমরা ইঞ্জিনিয়ার এনে ৪০০ মিটার ট্র্যাকের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আন্দোলনকারী কিছুতেই তা বুঝতে চাইছেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy