সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মিড ডে মিলের বদলে বিস্কুট, কেক দেওয়া হচ্ছে শিলিগুড়ির বহু পুরনো পাবলিক প্রাইমারির ছাত্রছাত্রীদের। তাই তারাও স্কুলে আসতে উৎসাহী নয় বলে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ। বিধি অনুযায়ী, এলাকার কাউন্সিলর মিড ডে মিলের দায়িত্বে। সমস্যা মেটাতে স্কুল নিজেরা মিড ডে মিলের আয়োজন করতে চেয়ে তাঁকে আবেদনও করেন। অথচ মাস খানেক ধরে শিলিগুড়ি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্ত চক্রবর্তী তাঁদের সেই দায়িত্ব-ও দিচ্ছেন না বা সুষ্ঠু ভাবে মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও করছেন না বলে অভিযোগ। সোমবার স্কুলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা পুরসভার মেয়র পারিষদ রুমা নাথ। অভিভাবকদের অভিযোগ, মহকুমা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত সমস্যা জানানো হলেও ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তারা ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টি গুরুত্বই দিতে চাইছেন না।
জেলাশাসক পুনিত যাদব বলেন, “স্কুলে মিড ডে মিলে রান্না খাবার দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।” স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েক মাস ধরেই স্কুলে যে মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছিল তার মান খারাপ। সে জন্য প্রধান শিক্ষিকা, অভিভাবকদের সই নিয়ে স্কুলের তরফেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুর কর্তৃপক্ষকে জানান। তাতেও সমস্যা মেটেনি। কাউন্সিলার ব্যবস্থা করেই এলাকার ৩ টি প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিল পাঠাতেন। অনিল রায়, পূজা বিশ্বাসদের মতো অভিভাবকদের অভিযোগ, যে খাবার দেওয়া হয় তা মুখে দেওয়া যায় না। অধিকাংশ দিনই শুধু হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করা ভাত খিচুড়ি বলে দেওয়া হয়। কয়েকটি আলুর টুকরো থাকে। শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ রুমা দেবী বলেন, “প্রশান্তবাবুকে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই পুরসভার তরফে চিঠি পাঠিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়ে দিতে বলা হচ্ছিল। কাউন্সিলর তা না দেওয়ায় সমস্যা রয়েই গিয়েছে।” রুমাদেবী জানান পুরসভার তরফে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মিড ডে মিলের আয়োজন করতে সাহায্য করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy