ভারত ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ শহরের জমি সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।
ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে খবর, জয়গাঁয় সরকারি জমির উপর বসবাসকারীরদের, জমি পাট্টা দেওয়া হবে না লিজে দেওয়া হবে তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার। ভারত ভুটান সীমান্তে অপরিকল্পিত ভাবে বেড়ে ওঠা এই বাণিজ্য শহরে জন সংখ্যা বেড়ে চললেও শহরের প্রাথমিক সমস্যা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে। প্রায় বছর খানেক আগে জয়গাঁর জমি সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গঠন করে রাজ্য সরকার।
গৌতমবাবু বলেন, “এর আগেও আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠিয়েছিলাম। আশা করছি দ্রুত জয়গাঁর জমি সমস্যা মিটবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়গাঁয় স্মার্টসিটি করার জন্য কেন্দ্রের কাছে ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।”
ভুমি ও ভুমি রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়গাঁ শহরের মধ্যে ৩২৬ একর জায়গা সরকারি। এই সরকারি জমির অধিকাংশেই বসতি রয়েছে। জায়গাগুলি বসবাসকারীদের পাট্টা দেওয়া হবে, না লিজে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নেবে। তবে প্রধান রাস্তার ধারে জমি, গলির ভেতরে জমি,এভাবে চার ধরনের জমির চরিত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসেবে জমির দাম বা রাজস্বের প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। কালচিনির বিধায়ক তথা জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান উইলসন চম্প্রমারি বলেন, “জয়গাঁয় জমির সরকারি কাগজ না থাকায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।” জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি বজরং লাল বাড়ডিয়া বলেন, “আশা করব রাজ্য সরকার দ্রুত জমির পাট্টা দেওয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে। এতে ব্যাঙ্ক ঋণ পেতে সুবিধে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy