ভুলবশত জেল থেকে ছাড়া পেলেও কেপিপির এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার পরামর্শে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন কেএলও জঙ্গি সন্দেহে ধৃত নবানু বর্মন। বুধবার গভীর রাতের মালদহের বামনগোলা থানার ঘটনা। মালদহ জেলা আদালতের যে দু’জন পুলিশ অফিসার জামিনের নথিতে ভুল করে নবানুর নাম লেখেন, তাঁদের সাসপেন্ড করেছেন জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। জেলা পুলিশ রূপেশ কুমার বলেন, “গাফিলতির অভিযোগে মালদহ আদালতের জিআরও সহ দুজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একজন ডিএসপির নেতৃত্বে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জিআরও অফিসের আরও কেউ রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” যদিও, মালদহ আদালতের জিআরও জিতেন্দ্র নাথ রায় সরকার ও প্রশান্ত ঘোষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নবানুর আত্মসমর্পণে পুলিশ ও জেল কর্তৃপক্ষ কার্যত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর হবিবপুরের বাসে গুলি চালানোর ঘটনা-সহ গাজলে বোমাবাজি ও একাধিক মামলায় অভিযুক্ত নবানু বর্মনকে পুলিশ ১ এপ্রিল বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে। গত ১১ এপ্রিল থেকে নবানু বর্মন মালদহ জেলা সংশোধানাগারে বন্দি রয়েছেন। বুধবার বাসে গুলি চালানোর মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কার্তিক মণ্ডল এবং কুমুদ মণ্ডলকে আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশ চার্জশিট জমা দিতে না পারায় দু’জনেরই জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। তবে জাল নোটের মামলা থাকায় কুমুদকে ফের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
নিয়ম অনুযায়ী জামিনের নথি আদালতের জিআর অফিস থেকে জেলে পাঠানো হয়। বুধবার বিকেলে মালদহ আদালতের জিআর অফিস কার্তিক মণ্ডলের সঙ্গে নবানু মণ্ডলের জামিন হয়েছে বলে নথিও জেলে পাঠিয়ে দেয়। জেল সুপার ডি ভুটিয়া বলেন, “নথি পাওয়ার ফলেই কার্তিক ও নবানুকে জেল থেকে ছাড়া হয়।”
ঘটনাটি জানাজানি হতেই পুলিশ-প্রশাসন ও জেলের অন্দরে আলোড়ন পড়ে যায়। কেপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সুভাষ বর্মন বলেন, “নবানু জেলে থেকে ছাড়া পাওয়ার খবর শোনার পরে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করি। জানতে পারি, ভুল করে নবানুকে জেল থেকে ছাড়া হয়েছে। তাই ওকে আত্মসমর্পণ করতে বলি। নবানুও রাজি হয়ে যায়।” বৃহস্পতিবার পুলিশ ফের নবানু বর্মনকে আদালতে হাজির করে। এ দিন তাঁর জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ দিন আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে জামিনে মুক্ত কার্তিকবাবু বলেন, “গতকাল আমার জামিন হয়। নবানুকে কালকে আদালতেই তোলা হয়নি। অথচ আদালত থেকে জেলে ফিরে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন নবানু বলল তারও নাকি জামিন হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy