চা পর্ষদ ন্যূনতম দর বেঁধে দেওয়ায় পরে উত্তরবঙ্গের ছোট চা বাগানের পাতার দাম নিয়ে সমস্যা মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার চা পর্ষদ এক বিবৃতিতে চলতি মাসের জন্য ছোট চা বাগানের পাতার ন্যূনতম দর ঘোষণা করেছে। জলপাইগুড়িতে কেজি প্রতি ১৩টাকা ১২ পয়সা, দার্জিলিঙে ১২টাকা ২৩ পয়সা, উত্তর দিনাজপুরে ১২টাকা ৯ পয়সা এবং কোচবিহারে ১২টাকা ২৭ পয়সা ন্যূনতম দিতেই হবে বলে পর্ষদ জানিয়েছে। ছোট চা বাগানের মালিক এবং বটলিফ কারখানা মালিক, উভয়কেই এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
সম্প্রতি নানা কারণে চা পাতার দাম মিলছে না বলে জলপাইগুড়ি সহ অনান্য জেলার ক্ষুদ্র চা চাষিরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, কেজি প্রতি চা পাতার জন্য বটলিফ কারখানা কর্তৃপক্ষ কিছু ক্ষেত্রে ১০ টাকার কমও দর দিতে শুরু করে। দাম কম পাওয়ায় তাদের ক্রমাগত ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে পর্ষদকে জানায় ক্ষুদ্র চা চাষিরা। অন্যদিকে, বটলিফ কারখানা কর্তৃপক্ষগুলির তরফে পাল্টা জানানো হয়, যে চা পাতা ছোট চা বাগান থেকে আসছে, তার গুণগত মান খুবই খারাপ। কোনও ক্ষেত্রে ১ কেজি চা পাতার মধ্যে ভাল পাতার পরিমাণ ১০ শতাংশও নয়। ৯ সেপ্টেম্বর বটলিফ কারখানাগুলি বন্ধও রাখে কারখানা মালিকদের সংগঠন। এর পরেই হস্তক্ষেপ করে চা পর্ষদ।
চা পর্ষদের উপ অধিকর্তা চন্দ্র শেখর মিত্র বলেন, “শনিবার ন্যূনতম দরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করছি, এরপরে দাম নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।”
উত্তরবঙ্গের বটলিফ কারখানা মালিকদের সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রবীর শীল বলেন, “ভাল পাতা পেলে দাম দিতে কোনও সমস্যা নেই। যদি দেখা যায়, কোনও ক্ষেত্রে খুব ভাল পাতা আছে, তবে ন্যূনতম দরের থেকেও বেশি দাম দেওয়া হবে।”
উত্তরবঙ্গে ছোট চা বাগানের সংখ্যা অন্তত ৪০ হাজার বলে ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতিগুলির দাবি। উত্তরবঙ্গে বটলিফ কারখানার সংখ্যা প্রায় ১৪০। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির মুখপাত্র বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “পাতার দাম একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছিল। এ বার হয়তো কিছুটা সুরাহা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy