দার্জিলিং জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসন্ন পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার।
সোমবার শিলিগুড়ি অনিল বিশ্বাস ভবনে দলের বৈঠকের পরেই বসে বামফ্রন্টের বৈঠক। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে জীবেশবাবু বলেন, “শিলিগুড়িতে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট আসছে। পার্টি কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তার কোনও জায়গা নেই। নিষ্ক্রিয় সদস্যদের আমরা সময় সীমা বেঁধে দিতে চলেছি। তাঁরা সক্রিয় না হলে পার্টি আর এই বোঝা আর টানতে পারবে না। তাঁদের ঝেড়ে ফেলতে হবে।”
দলীয় সূত্রের খবর, জেলা সিপিএমের ৫৭৩৩ জন কর্মী রয়েছে। এরা দলের ৪৯টি লোকাল এবং ৫১৭টি ব্রাঞ্চ কমিটি সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে ন’টি জোনাল কমিটিও। দলের ভিত্তি, ব্রাঞ্চ কমিটি বা শাখাগুলিই যে অত্যন্ত দুর্বল গত রবিবার নকশালবাড়িতে শেষ হওয়া দলের জেলা সম্মেলনে সেই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিনিধিদের জানানো হয়, শাখা কমিটির ৪০ শতাংশ সদস্য সক্রিয় নন। এমনকী, মাসে একবার শাখা বৈঠকের কথা থাকলেও তা হয় না। বৈঠকে ১৫ শতাংশের বেশি সদস্য আসছেন না। পার্বত্য এলাকায় অবস্থা আরও খারাপ। অভিজ্ঞ সদস্যরা ব্রাঞ্চ কমিটির সম্পাদক হতে চাইছেন না। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই জোনাল কমিটি বা জেলা কমিটিকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে জীবেশ বাবুর এই বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিনের বৈঠকের পরে জীবেশবাবুর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের নেতারা শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। শিলিগুড়ির রামঘাটে পুলিশ অভিযান বন্ধ ও এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য তাঁরা পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ি শহরের তীব্র যানজট ও শহরের নানা পার্কিং এর অব্যবস্থা রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবিও এ দিন জানিয়েছেন বাম নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy