—নিজস্ব চিত্র।
ফের বিভ্রাট হল টয় ট্রেনে। দার্জিলিং যাওয়ার পথে বিপাকে পড়লেন বিদেশি পর্যটকেরা। হেরিটেজ মর্যাদা পাওয়া শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয় েট্রেনর দু’টি কামরা শনিবার নিউজিল্যান্ড থেকে আসা পর্যটকদের একটি দল সংরক্ষিত করেছিল। পর্যটকদের চাহিদা মতো এদিন ট্রেনে স্টিম ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছিল। যদিও, শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন ছেড়ে কিছুটা এগোতেই ইঞ্জিন বিভ্রাটে ট্রেন থমকে যায় বলে অভিযোগ। আধঘন্টারও বেশি সময় দাগাপুরে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে বলে পর্যটকেরা অভিযোগ করেছেন। ইঞ্জিন মেরামতির পরে ট্রেনটি সুকনা স্টেশনে পৌঁছলে সেখানেও বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। গত ২৬ জানুয়ারি টয় ট্রেনের দুর্ঘটনায় এক পর্যটকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। জখম হন অন্তত ৩ জন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ইঞ্জিন বিকলের অভিযোগ ওঠায় ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা পাওয়া এই ট্রেনের রক্ষনাবেক্ষণ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রেলের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, এ দিন ট্রেনের ইঞ্জিনে কোনও ক্রুটি বা বিভ্রাট হয়নি। নিয়ম মেনেই পাহাড়ি চড়াই রাস্তায় ওঠার আগে ব্রেক ঠিক মতো কাজ করছে কিনা তার পরীক্ষার জন্য আচমকা ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিদিনই এই পরীক্ষা করা হয় বলে রেলের দাবি।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের নিউ জলপাইগুড়ির সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল দাবি করে বলেন, “অহেতুক টয় ট্রেনকে ঘিরে গুজব, জল্পনা ছড়ানো হচ্ছে। চড়াই পথে ওঠার আগে সমতলে আচমকা ট্রেন থামিয়ে ব্রেক পরীক্ষা করা হয়। এ দিনও তাই হয়েছে। এর বেশি কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিভ্রাট বা ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটলে সেই ইঞ্জিন বদলিয়ে দেওয়া হতো।”
রেল সূত্রের খবর, মালিগাওঁয়ের সদর দফতর থেকেই ট্রেনের দু’টি কামরা সংরক্ষিত করেছিলেন বিদেশি পর্যটকেরা। দু’টি কামরায় ৫ জন বিদেশি পর্যটক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের একটি দল গতকাল শিলিগুড়িতে পৌঁছে এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শিলিগুড়ি জংশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। পর্যটকদের অভিযোগ শুধু দাগাপুর এবং সুকনা স্টেশন নয়, তিনধরিয়াতেও দীর্ঘক্ষণ ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিন মেরামত করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে পর্যটন সংস্থা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল তাদের কাছে পর্যটকেরা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy