—প্রতীকী ছবি
মনোজ বিন এবং তাঁর প্রেমিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলে রেখেছিল বন্ধু সুজন মণ্ডল। সুজনের মোবাইলে ছিল মনোজের প্রেমিকার স্নানের দৃশ্যও। তা দিয়েই তাঁদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করতে শুরু করেছিল বছর ছাব্বিশের সুজন। তার জেরেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে পুলিশ। বুধবার রাতে রায়গঞ্জের পশ্চিম মহাদেবপুর এলাকার বাড়ি থেকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজ ওরফে লালচাঁদ বিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়ি থেকে একটি ধারালো রাম দা এবং ঘটনার সময় পরে থাকা তার একটি জামা উদ্ধার হয়েছে।
ধৃত মনোজকে রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের মাধ্যমে পাঁচদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মনোজের প্রেমিকার প্রতি সুজনের দুর্বলতা ছিল। তাকে পাওয়ার লক্ষ্যেই মনোজ এবং তার প্রেমিকার ভিডিয়ো দেখিয়ে তাদের ‘ব্ল্যাকমেল’ করত সুজন। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিত।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মনোজ খুনের কথা স্বীকার করেছে। তার প্রেমিকাকে সুজন পেতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছে মনোজ। খুনের সেটাই মূল কারণ বলে জানা গিয়েছে।’’ সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে তদন্ত করবে পুলিশ।
গত ১০ ডিসেম্বর রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপলান হ্যালেঞ্চাপাড়ায় বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরের একটি পরিত্যক্ত চালকল চত্বরে সুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এক বা একাধিক দুষ্কৃতী ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে তার গলার নলি কেটে দিয়েছিল। সুজন স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ। নিহতের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগেরও হদিস পায়নি পুলিশ। নিহতের দাদা রাধো মণ্ডল পুলিশের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy