এটিএম জালিয়াতির এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিবাড়ি বাজারের স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএমে। ধৃত ব্যক্তির নাম ক্ষিতীশ রায়। সে জলপাইগুড়ি কতোয়ালি থানার কচুয়াবোয়ালমারি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর কাছে আরও ভুয়া এটিএম কার্ড পাওয়া গিয়েছে। যে মহিলার এটিএম কার্ড সে নিয়েছিল সেই এটিএম কার্ডটিও পাওয়া গিয়েছে। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজেও একই ব্যাক্তিকে দেখা গিয়েছে। তবে সেই ব্যক্তি জালিয়াতি করে কোনও টাকা তুলেছে কি না, তা বোঝা যায়নি।
হলদিবাড়ি থানার আইসি প্রবীণ প্রধান বলেন, “ধৃত ব্যাক্তি স্বীকার করেছে যে সে হলদিবাড়িতে আরও দুটি এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তাকে মঙ্গলবার মেখলিগঞ্জ কোর্টে পাঠানো হবে। আরও তদন্তের স্বার্থে তাকে আমরা দশ দিনের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করব।” এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে হলদিবাড়ির একজন মহিলা স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে যান। ধৃত ক্ষিতীশ রায় তাঁকে সাহায্য করার অছিলায় এটিএমে ঢোকে। তার কাছ থেকে এটিএম কার্ডটি নিয়ে পাসওয়ার্ড জেনে নেয়। এরপর টাকা তোলা যাচ্ছে না বলে সে এটিএম কার্ডটি ফেরত দেয়। মহিলাকে জানায় যে, কেন টাকা তোলা যাচ্ছে না তা জানতে সে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে যাচ্ছে। সে আসছে না দেখে মহিলাটি তখনই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন ছেলেটি নেই। তখন তিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে সমস্ত ঘটনা জানান। ম্যানেজার তার কাছ থেকে এটিএম কার্ডটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন যে সেটি ভুয়া। মহিলার আসল কার্ডটি ওই যুবক নিয়ে গেছে। বদলে একটি ভুয়া এটিএম কার্ড তাকে দিয়ে গিয়েছে।
ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে মহিলা তখন নীচে নেমে এসে সবাইকে সব কিছু জানান। সব কিছু শুনে এটিএম কাউন্টারের কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার মহিলাকে জানান যে, সে একটি সরকারি বাসে ছেলেটিকে বসে থাকতে দেখেছে। বাসটি তখন ছেড়ে যাচ্ছিল। হলদিবাড়ি রেলগেটে বাসটিকে আটকানো হয়। সেখান থেকে ধরা হয় ওই যুবককে। মহিলা তাকে সনাক্ত করেন। ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজেও একই ব্যাক্তিকে দেখা যায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy