প্রতীকী ছবি।
প্রশ্নপত্র বিভ্রাট চলছেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবারের পর মঙ্গলবারও দ্বিতীয় বর্ষের ইলেকটিভ বাংলার পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীরা নতুন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র পাওয়ায় পরীক্ষাই দিলেন না। এ দিন ষষ্ঠপত্রের প্রশ্নপত্র নিয়েও অসন্তোষ দেখা দেয়। বারবার করে প্রশ্নপত্র নিয়ে অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ দিন বিকেলে সিলেবাস কমিটি, পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র। তিনি বলেন, ‘‘সিলেবাস মেনেই প্রশ্ন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তবুও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ সিলেবাস মেনে প্রশ্ন হয়নি বলে অভিযোগ করায় আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেই কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০টি কেন্দ্রে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। এ দিন ছিল ইলেকটিভ বাংলার ষষ্ঠ পত্রের পরীক্ষা। সোমবারের মতো এ দিনও প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর পরীক্ষা না দিয়ে বেড়িয়ে যান মালদহ মহিলা কলেজ ও মালদহ কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা ইলেকটিভ বাংলার পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, চতুর্থ পত্রে পুরনো সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র তৈরি হলেও পঞ্চম ও ষষ্ঠ পত্রে তা হয়নি। নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। বাধ্য হয়েই পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, মালদহ সহ দুই দিনাজপুরের মোট ২৫টি কলেজে ইলেকটিভ বাংলায় পুরনো সিলেবাসের ১২১৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। পরীক্ষার্থীরা ২০১২-১৩ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের। হাজার খানেক পরীক্ষার্থী থাকলেও শুধুমাত্র শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে বেড়িয়ে যান। তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে কর্তৃপক্ষের অন্দরে। যারা পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরাও দাবি করেন, প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আবার পরীক্ষার ব্যবস্থা না করে, তাহলে সমস্যার হতে পারে এই আশঙ্কাতেই পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, ‘‘সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy