Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Raipur Tea Garden

পুরো রেশন দেওয়ার আশ্বাসেও চিঁড়ে ভিজছে না বন্ধ রায়পুরে

বৃহস্পতিবারের পরে, শুক্রবারেও বাগানের শ্রমিকেরা রেশন নেননি। এ দিন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা বাগানে গিয়ে আশ্বাস দিলেও, পুরো রেশন দাবি করেছেন শ্রমিকেরা।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৯
Share: Save:

বিক্ষোভের পরেই রাতারাতি জলপাইগুড়ির বন্ধ রায়পুর চা বাগানে খাদ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে পুরো রেশন দেওয়ার আশ্বাস দিলেন। প্রশাসনের তরফে বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের বলা হয়েছে, যে পরিবারগুলির নাম অন্ত্যোদয় প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত হয়নি, সেগুলি দিলেই পুরো রেশন দেওয়া হবে। যদিও বাগানের শ্রমিকেরা এ দিনও দাবি করেছেন, পুরো বরাদ্দ না মিললে, কেউ রেশন নেবেন না।

২০২২ সালের একটি নির্দেশিকায় রায়পুর চা বাগানের সাড়ে পাঁচশো পরিবারকে অন্ত্যোদয় অন্নপূর্ণা প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী, কোনও বাগান বন্ধ হলেই সেখানকার শ্রমিকদের অন্ত্যোদয় প্রকল্পে রেশনের সুবিধা দেওয়া হয়। নির্দেশিকা এবং প্রচলিত নীতি—থাকলেও রায়পুর চা বাগানে সাড়ে পাঁচশোর পরিবর্তে পাঁচশো পরিবারের নামে রেশন পাঠানো হচ্ছে বলে বিল করার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠী দাবি করেছে। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, বন্ধ বাগানে বরাদ্দ বাকি রেশন যাচ্ছে কোথায়?

বৃহস্পতিবারের পরে, শুক্রবারেও বাগানের শ্রমিকেরা রেশন নেননি। এ দিন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা বাগানে গিয়ে আশ্বাস দিলেও, পুরো রেশন দাবি করেছেন শ্রমিকেরা। খাদ্য দফতরের তরফে বন্ধ বাগানে দাবি করা হয়েছে, পুরো নথিপত্র তৈরি করতে মাস দু’য়েক সময় লাগবে। যদিও শ্রমিকেরা অনড়। শুধু রায়পুর নয় ,পাশের জয়পুর চা বাগানেও যত পরিবারকে অন্ত্যোদয় প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, তার থেকে কম রেশন পাঠানো হয় বাগানে, অভিযোগ শ্রমিকদের। জয়পুর চা বাগানের বহু পরিবারের রেশন বকেয়া পড়ে রয়েছে বলে দাবি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদব্তের দাবি উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই।

জলপাইগুড়ি জেলার খাদ্য নিয়ামক দাওয়া ওয়াঙ্গেল লামা বলেন, “কোনও অনিয়ম নয়, রায়পুর চা বাগানের পাঁচশো পরিবারের জন্যই রেশন বরাদ্দ হয়। আমরা শ্রমিকদের বলেছি আরও পঞ্চাশটি পরিবারের তালিকা দিতে। সে তালিকা পেলেই তাঁদেরও রেশন দেওয়া হবে। শ্রমিকরা বুঝেছেন। বিষয়টি মিটে গিয়েছে।” যদিও রায়পুর চা বাগানের শ্রমিক তথা তৃণমূল নেতা প্রধান হেমব্রম বলেন, “কিছুই মেটেনি। দফতরের আধিকারিকরা এর আগেও অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু পুরো রেশন পাইনি। মোট রেশনের কিছু অংশ কোথায় যায়, সে প্রশ্নের উত্তর নেই। আমরা আরও কিছু দিন অপেক্ষা করব। প্রশাসনের কথা মতো তালিকাও দেব। সমাধান না হলে, আন্দোলনে নামব।”

প্রশাসনের তরফে দাবি, তালিকা পেলে, খতিয়ে দেখে সব শ্রমিক পরিবারের নামে রেশনের চাল-আটা বরাদ্দ করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy