ভোগান্তি: মায়ের পিঠে। নিজস্ব চিত্র
বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারের লাইনে বছর এগারোর অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপালি বর্মণ। সোমবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ঘটনা। শহরের ৪২নম্বর ওয়ার্ডের ভূপেন্দ্রনগরের বাসিন্দা দীপালি জানান, তিনি সকাল ১১টায় এসেছিলেন হাসপাতালে। চিকিৎসক দেখাতে পেরেছেন দেড়টায়। এতটা সময় অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে কখনও দাঁড়িয়ে কখনও বসে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে।
হুইল চেয়ার পাননি? ক্ষোভে ফেটে পড়েন দীপালি। জানান, অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে রোগী সহায়তাকেন্দ্রে গেলেও কোনও সাহায্য পাননি তিনি। পিঠে অসুস্থ ছেলেকে নিয়েই সমস্ত হাসপাতাল চত্বর তাঁকে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ দিন চিকিৎসক ছেলের রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন বলে জানান দীপালি। সেই মতো অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে রক্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে গেলেও সেখানে কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে মঙ্গলবার আবার যেতে বলেছেন বলে তিনি জানান। দীপালি বর্মণ বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতালে রোজ রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’’
সে কথা মানতে চাননি জেলা হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের আধিকারিক কল্পনা রায়। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক দিন বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগ মিলে আড়াইশো জনের বেশি রোগীর রক্ত পরীক্ষা করাতে হয়। যাঁদের আগে থাকে তাঁদের আগে করান হয়। রোগীর চাপ থাকলে অন্যদিন সময় দেওয়া হয়। তবে জরুরি হলে চিকিৎসককে দিয়ে লিখিয়ে আনলে সঙ্গে সঙ্গে করে দেওয়া হয়।’’
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে প্রায়দিনই বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে রোগীদের হয়রানি হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। রোগীর আত্মীয়দের একাংশের দাবি, মাঝেমাঝে সময়মত বহির্বিভাগ খোলা হয় না। চিকিৎসকরাও সময়মত বসেন না। ফলে রোগীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এক রোগীর আত্মীয় অর্ণব দাস বলেন, ‘‘হুইল চেয়ারে মাঝে মাঝে ওষুধের বাক্স নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীরা চাইতে গেলে পাওয়া যায় না।’’
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন ‘‘আমার কাছে এই ধরনের কোন অভিযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy