ফাইল চিত্র।
সব ঠিক থাকলে পুজোর মুখে ভালর দিকে যেতে পারে পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, আজ, সোমবার দুপুরে পাহাড়ে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা এবং জিটিএর অফিসারদের সঙ্গে পরিবহণ, হোটেল, হোমস্টে মালিকদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক হবে। তারপরে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টেগুলি পরপর খুলে যেতে পারে। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে ৭-১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হোটেল, হোমস্টে পাহাড়ে চালু হতে পারে। এর আগে ঘরোয়াভাবে ১৯ অগস্ট জিটিএ চেয়ারম্যান হোটেল, হোমস্টে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেন।
সেই মতো রবিবার দুপুরে দার্জিলিং জিমখানা ক্লাবে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং-এর হোটেল, হোমস্টে ওনার্স এবং পরিবহণ ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেন। সেখানে কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। তা নিয়ে আজ জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে। তবে কত তাড়াতাড়ি পর্যটকদের দল পাহাড়ে পৌছবেন তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের পরামর্শদাতা সূর্যনারায়ণ প্রধান এ দিনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। তিনি পাহাড়ের সামগ্রিক পরিবহণ ব্যবসায়ীদের কো-অর্ডিনেশন কমিটিরও চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘‘হোটেল-হোমস্টে আমরা খুলতেই চাই। কিন্তু কিছু সরকারি সাহায্য প্রয়োজন। সেগুলি নিয়ে জিটিএ চেয়াম্যান, অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেই সব করা হবে।’’
পাহাড়ে আনলকের সময় এক দফায় অল্প সংখ্যক হোটেল, হোমস্টে খোলা হয়েছিল। অত্যন্ত কম হলেও পর্যটকেরা পাহাড়ে এসেছিলেন। কিন্তু দার্জিলিঙের হোটেল থেকে পর্যটকদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কালিম্পঙের হোটেলগুলিতে চিঠি দিয়ে বুকিং না নেওয়ার ফতোয়া জারি হয়। তাছাড়া কর্মীদের বেতন, কর, বিদ্যুত বিল নিয়েও টানাপড়েন হয়। তারপরেই হোটেল, হোমস্টে বন্ধ করা দেওয়া হয়। পরে জিটিএ সংক্রমণ ঠেকাতে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব কিছু বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করে।
এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে- জিটিএকে পাহাড়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বলা হবে। দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পঙে পাহাড়ে ঢোকার মুখে হেল্থ ক্যাম্প রেখে কড়া স্ক্রিনিং করা, সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মানা নিয়ে হোটেল-রিসর্টে নজরদারির মনিটারিং টিম এবং সব পার্কিংলটগুলিকে নিয়মিত স্যানিটাইজ়েশন করার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।
দার্জিলিঙের কয়েকজন হোটেল মালিক জানান, পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকাতেও অনেক হোমস্টে রয়েছে। সেখানে স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy