প্রতীকী ছবি
পুরভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে ভোট পিছোন হবে কিনা সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির তরফে। কিন্তু তার জন্য প্রচার ফেলে রাখতে রাজি নয় কোনও দলই। তাই নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বজায় রাখতে পথে নামছে ডান থেকে বাম সব দলই। আর প্রচারে করোনা নিয়ে সচেতনতাকেও হাতিয়ার করছে দলগুলি। তাতে একদিকে যেমন ভোটের প্রচার হচ্ছে তেমনই করোনা সচেতনতার কাজও চলছে বলে দাবি নেতা-কর্মীদের।
শনিবার শিলিগুড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুরসভার তরফে একটি নাগরিক সভা হয়েছে। সেখানে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য করোনা নিয়ে সচেতন করেছেন। তবে করোনা আতঙ্কের প্রভাবে ভোট যাতে বন্ধ করা না হয় তার দাবিও তুলেছিলেন। সেখানে অশোক দাবি করেন, করোনা মোকাবিলার সঙ্গে সঙ্গেই পুর নির্বাচনও প্রয়োজন। রবিবার মেয়র জানান, পুরসভা করোনা সচেতনতায় নিজস্ব তহবিলের ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি এবং সচেতনতা করা হবে। রাজ্য এবং কেন্দ্রকেও পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা করোনা মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়েছি। ভোটের প্রচারের সঙ্গে করোনা সচেতনতাও করছি। তবে দ্রুত ভোটটাও করানো প্রয়োজন।’’
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে রবিবারও ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি ছিল। সেখানেও এ দিন সচেতনতার প্রচার হয়েছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি ও শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘বর্তমানে মানুষের পাশে দাঁড়ান প্রয়োজন। ভোট যখনই হোক আমরা তৈরি রয়েছি।’’ দলীয় কর্মীরা ভোট প্রচারের সঙ্গে করোনা সচেতনতাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানান। প্রত্যেক কর্মিসভা, দলীয় সভায় করোনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। রঞ্জন বলেন, ‘‘অশোকবাবুরা জানিনা কেন দ্রুত নির্বাচন করানোর কথা বলছেন। তাঁদের কাছে হয়ত করোনার প্রভাব সামান্যই মনে হচ্ছে।’’
বিজেপিও শিলিগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখন সিএএ নিয়ে প্রচার করছে। রবিবার শহরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করে তারা।
সেখানেও ভোটের প্রচারের শেষে নেতারা করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচার করেন। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি প্রবীন আগরওয়াল জানান, তারা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা তৈরি করে রেখেছেন। সেভাবে প্রচারও হচ্ছে। ভোটের প্রচারের সঙ্গে করোনা সচেতনতার প্রচারও চলছে। প্রবীন বলেন, ‘‘অযথা
আতঙ্ক না ছড়ানোই ভাল। তবে সাবধানতাও জরুরি। আমরা ভোটের জন্য তৈরি রয়েছি। করোনার আতঙ্কের প্রভাবে নির্বাচন কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy