—ফাইল চিত্র।
প্রতিদিন রেকর্ড হারে সংক্রমণ বাড়ছে শিলিগুড়িতে। রবিবারও রাত পর্যন্ত শহর এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে পরপর সংক্রমণের খবর মিলেছে। মারাও গিয়েছেন দু’জন। এই অবস্থায় গত শনিবার ন’টি ওয়ার্ডের কন্টেনমেন্ট জ়োনের পরিধি কিছুটা বাড়িয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতির গুরুত্ব দেখে রবিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টা নজরদারির সময়সীমা বাঁধল প্রশাসন। ওই ৪৮ ঘণ্টা পর শহরে আরও কন্টেনমেন্ট জ়োন বাড়ানো হবে কি না তা ঠিক করা হবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহর নিয়ে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। কন্টেনমেন্ট জ়োনে নতুন ওয়ার্ড ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবল্লম বলেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডের সংক্রমণের হার বা ছড়ানোর গতি দেখা হচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টা পর আবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। সেখানে কন্টেনমেন্ট বাড়তেও পারে।’’
এই অবস্থায় শহরে পূর্ণ লকডাউনের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে। দু’দিন আগে শহরের ১৯টি ব্যবসায়ী সংগঠন ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে জেলাশাসককে পূর্ণ লকডাউনের নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার আবেদন করেন। এ বার সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজে শহরের লকডাউন নিয়ে ভোটাভুটি চলছে। এমনই একটি পোলে ৬০০ কাছাকাছি বাসিন্দা মতামত জানিয়েছেন। তাঁদের বেশিরভাগই ১০-১৫ দিনের পূর্ণ লকডাউন করে ‘করোনা চেন’ ভাঙার দাবি তুলেছেন। শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে ৪দিন নিজেরাই পুরোপুরি লকডাউন করেছেন। ব্যবসায়ীরা অনেকেই জানিয়েছেন, প্রশাসন এগিয়ে না এলে নিজেরাও বাজারঘাট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তবে প্রশাসন এখনও কন্টেনমেন্ট জ়োনের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রাখছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শহরের ২, ৪, ৫, ২৮, ৪৩, ৪৮, ৩৭, ৩৮ এবং ৩৯ ওয়ার্ডকে কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে প্রথমে ঘোষণা করা হয়। পরে শনিবার বাগরাকোটে স্টেশন বাজার, ফ্লাইওভারের একপাশের একাংশ মিলিয়ে একটি জ়োন এবং চম্পাসারি, গুরুংবস্তি, নিবেদিতা রোড এলাকাকে আর একটি জ়োনের আওতায় আনা হয়েছে। শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে বাড়তি নজরদারি চলছে। এরমধ্যে ৩, ৬-১০, ১৩-১৫, ১৭, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩১, ৩৪-৩৬ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে। প্রশাসনিক অফিসারেরা জানিয়েছেন, এরমধ্যে অনেক ওয়ার্ডে সংক্রমণ কম হলেও আশেপাশের ওয়ার্ডগুলি বেশি সংক্রমিত। সেগুলিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে না কমছে, কতজন সুস্থ হয়েছেন সেসব হিসাবের মধ্যে ধরা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy