—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিকিমে হড়পা বানে বিপর্যয় ও তার জেরে বন্যার জলে জলপাইগুড়িতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের বন্যার জলে অনেকেরই জাতিগত শংসাপত্র ভেসে গিয়েছে বা নষ্ট হয়েছে। বিপর্যয়ের পরে, বন্যাদুর্গতের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের সাহায্য। গত অক্টোবরে তিস্তার বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্গতদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের আয়োজন হয়েছিল জলপাইগুড়িতে। ৭ এবং ৮ নভেম্বর জেলার ১৫টি শিবিরে প্রায় দু’হাজার বাসিন্দা এসেছিলেন। বিশেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকে বন্যায় ভেসে যাওয়া নথিপত্রের প্রতিলিপি দিয়েছে প্রশাসন। বেশিরভাগ বাসিন্দাই জানিয়েছেন, তাঁদের জাতিগত শংসাপত্র ভেসে গিয়েছে। কী ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাসিন্দারা পেতে চান, সে কথা জেনে আবেদন করার ব্যবস্থাও ছিল ওই শিবিরে। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের উপভোক্তা হতে চেয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বিশেষ শিবিরগুলিতে। আজ, শুক্র এবং আগামিকাল, শনিবার বিশেষ শিবির করে আবেদনকারীদের বিভিন্ন পরিষেবার সুবিধা তুলে দেওয়া হবে। জেলাশাসক শামা পারভিন বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা চেয়ে বাসিন্দারা আবেদন করেছিলেন। সে সব পরিষেবা দেওয়া হবে। বন্যা দুর্গতদের জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন হয়েছিল।”
জলপাইগুড়ি সদর ছাড়াও মাল, ক্রান্তি এবং ময়নাগুড়ি ব্লকে বিশেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির হয়েছিল। গত অক্টোবরে হড়পা বানে সিকিমের হ্রদ ভেঙে যায়। তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলাদেশ পর্যন্ত সমতলে তিস্তার দু’দিকে চাষের জমি থেকে বাড়িতে জল ঢুকে যায়। কয়েক হাজার বাসিন্দাকে রাখা হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। নষ্ট হয়েছিল প্রচুর নথি। সে সব নথি ফের বাসিন্দাদের দেওয়ার জন্য এবং কোন কোন সরকারি পরিষেবা বাসিন্দারা পেতে চান তা জানতে, বিশেষ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের আয়োজন হয়েছিল। ভোটের সচিত্র পরিচয়পত্র চেয়েও আবেদন জমা পড়েছে। তবে তা সংখ্যায় কম। জাতিগত শংসাপত্র এবং ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর আবেদনই জমা পড়েছে বেশি। তিস্তার জলে সিকিম থেকে ভেসে এসেছিল সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা বিস্ফোরক এবং অস্ত্র। বেশ কয়েকটি স্থায়ী-অস্থায়ী সেনা শিবির নদীতে ভেসে যায়। সে সব অস্ত্র-বিস্ফোরক এখনও উদ্ধার চলছে। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া তিস্তা পারের সারদাপল্লিতে চলতি মাসের শেষ দিকে উদ্ধার হওয়া বহু বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy