—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গ্রামে-গ্রামে ‘রুট মার্চ’ শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশের সঙ্গে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে যেতে জওয়ানরা ‘অভয়’ দিলেন ভোটারদের। রবিবার কোচবিহারের সিতাইয়ে এমনই ছবি দেখা গেল। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে এ দিনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা পৌঁছন। সোমবার থেকে টহল শুরু হবে।
শনিবার কোচবিহারে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছয়। রবিবার আসে আরও পাঁচ কোম্পানি বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাহিনীকে দিনহাটা ও সিতাই থানায় রাখা হয়েছে।
দিনহাটা থানার অধীন সিতাই বিধানসভার যে অংশ রয়েছে, তার কয়েকটি এলাকা ‘উপদ্রুত’। গত কয়েক বছরে গিতালদহ, ওকরাবাড়ি, পুঁটিমারি, ভেটাগুড়ির মতো এলাকায় বার বার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছু ঘটনা বড় চেহারা নেয়। কোথাও তৃণমূলের দু’টি ‘গোষ্ঠীর’ মধ্যে, কোথাও তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপনির্বাচনের আগে অবশ্য এখনও কোথাও তেমন ভাবে উত্তেজনা ছড়ায়নি। তার আগেই ঝুঁকি না নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে ‘রুট মার্চ’ শুরু করানো হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গিতালদহ, ভেটাগুড়ি ২, ওকরাবাড়ি, গোসানিমারির বিভিন্ন এলাকায় ‘রুট মার্চ’ শুরু করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। এসডিপিও (দিনহাটা) ধীমান মিত্র বলেন, ‘‘১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ শুরু করেছে। আরও এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে স্ট্রং রুম পাহারার জন্য।’’
মাদারিহাট উপনির্বাচনের আগে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছেছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। দুই কোম্পানি বাহিনীই মাদারিহাট বিধানসভা এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, উপনির্বাচন ঘিরে মাদারিহাটে দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে। যার মধ্যে দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ দিন সকালে সেখানে পৌঁছয়। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, মাদারিহাট বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘রুট মার্চ’ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy