করণদিঘির স্কুলে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের। নিজস্ব চিত্র।
২৯ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মুল্যায়নের সুযোগ হারাতে চলেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে। ঘটনার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তারা।
দেশে কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারেনি। বোর্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পাশ করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রচেষ্টায় এই রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা মূল্যায়নের আশায় বুক বাঁধছে। সেই সময় শুধু নথিভুক্তিকরণ না হওয়ায় জন্য করনদিঘির মাদারগাছি উচ্চ বিদ্যলয়ের ২৯ জন পড়ুয়ার একটি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হতে চলেছে। সেই তালিকায় মেধাবী পড়ুয়াদের পাশাপাশি আছে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সদস্যের নিজের কন্যা সন্তানের নামও।
এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও স্কুলের প্রধানশিক্ষক বিভিন্ন ‘প্রমাণ’ এবং যুক্তি দিয়ে অভিভাবকদের দোষী করেছেন এই ঘটনায়। পাশাপাশি, শুক্রবার সকালে প্রধান শিক্ষক ওই ২৯ জনের মধ্যে জনা দশেক পড়ুয়ার নতুন করে ফর্ম পূরণ করে পর্ষদ অফিসে নিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, করণদিঘি ব্লকের মাদারগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরে ১৭৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে ফর্ম পূরণ করেছে ১৪৯ জন পড়ুয়া। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের ফর্ম পূরণের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
কিন্তু ২৯ জন পড়ুয়ার ফর্ম না-পূরণের ঘটনা কী ভাবে নজর এড়িয়ে গেল? স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার ঘোষ শুক্রবার বলেন, ‘‘প্রতি বছর এই রকম হারে পড়ুয়ারা ফর্ম ফিলআপ করে। তাই বিষয়টি আমরা স্বাভাবিক মনে করেছিলেন।’’
যখন স্কুলের একাধিক মেধাবী পড়ুয়ার ফর্ম পূরণ হয়নি, তখন স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছে কী করে তা ‘স্বাভাবিক’ মনে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য পূর্ণচন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘খবর না পাওয়ায় আমার মেয়েও ফর্ম পূরণ করতে পারেনি। ফলে তারও এই শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হতে বসেছে।’’ প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy