স্বপ্না বর্মণ।নিজস্ব ছবি।
তিস্তা পাড়ের পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়ায় এখন রীতিমত উৎসবের মেজাজ। কাশফুল উঁকি মারছে। সবুজ ধান খেতও মাথা তুলছে। বাতাসে ভাসছে শরতের আবহ। দেবী দশভুজার আসার অপেক্ষা। আর একই সঙ্গে ঘোষপাড়া অপেক্ষা করছে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মনের জন্য। শনিবার সন্ধেয় ছিনতাইয়ের ধাক্কা সামলে বাড়ির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বাসনা বর্মণ।
স্বপ্নার সোনা জয়ের পরেই বাড়ি ঢোকার কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। কংক্রিটের রাস্তার কাজের শেষ প্রলেপ দেওয়া চলছে। বাড়ির উঠোনও পাকা হয়েছে। স্বপ্নার মা বাসনা বর্মন বলেন, ‘‘মা দুর্গাও আসছেন, আর সেই সঙ্গে আমার মেয়েও আসবে।’’
‘পুচুন’ স্বপ্নার ডাক নাম। মা বাসনা বর্মন বলেন, ‘‘আমার পুচুন তো নিরামিষ খেতেই বেশি ভালবাসে। ওর প্রিয় খাবার পাতলা করে মুসুর ডাল, শাক, পটল-আলু–কোয়াশের তরকারি। এই খাবার তো আমাকে বানাতেই হবে। তারপর অন্য কিছু...।’’
স্বপ্নার আসার প্রতীক্ষায় এখন গোটা ঘোষপাড়া গ্রাম সহ জলপাইগুড়ি । গ্রামবাসী বাপি সেন, লুৎফর রহমান, জ্যোৎস্না রায়েরা বলেন, ‘‘আমরা সবাই একসঙ্গে চাঁদা তুলে স্বপ্নাকে নিয়ে উল্লাসে মাতব।’’ স্বপ্নার বাবা পঞ্চানন বর্মন বলেন, ‘‘স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে আমাদের মেয়ে এত বড়ো হয়ে উঠবে। এখন তো শহর গ্রাম সহ বিভিন্ন পুজো কমিটির লোকেরা বাড়িতে এসে মেয়েকে দিয়েই পুজোর উদ্বোধন করাতে চাইছেন। জানি না মেয়ে কী বলবে।’’
সোনা জয়ের আগে পর্যন্ত ছবিটা আলাদা ছিল। বাসনাদেবী বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজ জোটাতেও হিমসিম খেতে হতো। জানি না কোথা থেকে আমার বাড়িতে এক গুচ্ছ জব কার্ড এল!’’ শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি এলআইসি-র বিভাগীয় দফতরের দুই পদস্থ কর্তাও দফতরের নির্দেশে হাজির হয়েছিলেন স্বপ্নার মা ও বাবাকে সংবর্ধনা জানানোর আমন্ত্রণ করতে। ওই অনুষ্ঠানে মা বাসনা বর্মণ যাবেন বলে জানান।স্বপ্নাদের বাড়ির কালীমন্দিরে বাৎসরিক পুজো মহালয়ায় অমাবস্যায়। বাড়ির সকলেই চান সেই পুজোয় যেন বাড়িতে থাকেন সোনার মেয়ে স্বপ্না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy