হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূল নেতা। প্রতীকী চিত্র।
ফের বিতর্কে মালদহের ‘পেল্লায়’ বাড়ির মালিক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মাইনুল শেখ। এ বার দলীয় কর্মীর সঙ্গে তাঁর ‘হাতাহাতির’ ভিডিয়ো (সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) ছড়িয়েছে সমাজ মাধ্যমে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক বিতর্কে মাইনুলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের জন্য পরিকল্পনা করে তাঁকে বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন মাইনুল। তাঁর অভিযোগ, “বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের একাংশ আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন।”
ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারে, মাইনুল শেখের বাড়ি। তিনি ২০১২ সালের পরে, তৃণমূলে যোগ দেন। পরে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন। স্থানীয়দের দাবি, মাইনুল এক সময় শহরের বাজারে ফল বিক্রি করতেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে, ‘ফুলেফেঁপে’ ওঠেন তিনি। তিনি এখন মাটি কেনাবেচার ব্যবসাও করেন। তাঁর বাড়ি নিয়ে দলের অন্দরে হইচই হয়। এমনকি, ভোটকুশলী সংস্থাও তাঁর বাড়ি নিয়ে খোঁজখবর নেয়। এরই মধ্যে, জানুয়ারি মাসে দলেরই কার্যালয় ভাঙচুরে নাম জড়িয়েছিল মাইনুল শেখের। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান।
এ বার ফের বিতর্কে মাইনুল। রবিবার পূর্ত দফতরের জমির দখল নিয়ে তৃণমূল কর্মী মুনি শেখকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। মুনির বাবা ফারুক শেখ পুলিশে অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। তিনি বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
এ দিন মুনির সঙ্গে মাইনুলের হাতাহাতির ভিডিয়ো (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজ মাধ্যমে ছড়ায়। মুনির অভিযোগ, “পূর্ত দফতরের জমি আমরা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভোগ করছি। সে জমি মাইনুল দখল করার চেষ্টা করে। প্রতিবাদ করলে, আমাদের মারধর করা হয়েছে।” মাইনুল বলেন, “আমি যাতে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট না পাই, তার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।” মালদহের তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “ঘটনাটি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy