Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

দুই জেলার পর্যটনের ওয়েবসাইট এখনও এক

জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে পর্যটন বিভাগে এখনও অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলাকেই দেখানো হচ্ছে। সেখানেও জলপাইগুড়ির ট্যুর অপারেটরদের কোনও নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগের নম্বর দেওয়া নেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫১
Share: Save:

জলপাইগুড়ি জেলা ভাগ হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে পর্যটন বিভাগে এখনও অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলাকেই দেখানো হচ্ছে। সেখানেও জলপাইগুড়ির ট্যুর অপারেটরদের কোনও নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগের নম্বর দেওয়া নেই। গন্তব্য বলতে ১১টি বনাঞ্চল অধ্যুষিত জায়গা এবং বনবাংলোর উল্লেখ আছে, যার মধ্যে ছ’টি আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত। জলপাইগুড়ির ট্যুর অপারেটর ওয়েলফেয়ারদের সংগঠনের দাবি অবিলম্বে ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য সংশোধন করা হোক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত তথ্য সংশোধন করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জলপাইগুড়ি ট্যুর অপারেটর ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সম্পাদক সব্যসাচী রায় বলেন, “সরকারি ওয়েবসাইটে জলপাইগুড়ি জেলার পর্যটনের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে তুলে না ধরার জন্য পর্যটকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিষয়গুলি সংশোধন করা হলে জেলায় পর্যটকদের সমাগম বাড়বে।”

বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনার পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল সব কিছু খতিয়ে দেখেন। তাঁরও নজরে আসে যে ওয়েবসাইটে অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলাকেই দেখানো হচ্ছে। অনেক তথ্যই ভুল এবং অনেক তথ্য দেওয়া নেই। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট কেবল জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত তথ্য থাকবে। সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত ভুল সংশোধন করা হবে এবং যে সমস্ত তথ্য নেই সেগুলিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এমাসের ২০ তারিখের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হবে।”

হোটেলস অ্যান্ড হোম-স্টে বিভাগে জলপাইগুড়ির কয়েকটি হোটেলের নাম দেওয়া আছে। কিন্তু প্যাকেজ অ্যান্ড ডেস্টিনেশন বিভাগে ১১টি বনাঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত বনবাংলোর নাম দেওয়া আছে। তার মধ্যে পাঁচটি বাদে সবগুলি আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত।

জল্পেশ মন্দিরে যে পর্যটকদের থাকার জন্য সরকারি অতিথিশালা তৈরি হয়েছে তারও উল্লেখ নেই। উল্লেখ নেই গর্তেশ্বরী মন্দিরের নাম, নেই জলপাইগুড়ির কালু সাহেবের মাজারের নাম, নেই দেড়শো বছরের পুরোনো সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড অল অ্যাঞ্জেল চার্চের নাম। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ি, রাজবাড়ির দিঘি এবং মন্দিরগুলির উল্লেখ নেই।

জলপাইগুড়ি শহরের কাছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন নেমে যে পর্যটকরা বোদাগঞ্জ, কাঠামবাড়ি, গজলডোবায় সহজে ঘুরতে যেতে পারেন। তার উল্লেখ নেই। পর্যটকরা নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন ছাড়াও নিউমাল জংশন এবং জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমেও বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারেন তার উল্লেখ নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Tourism Website Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy