বিধিহীন: বালুরঘাটের চকরাম হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবিরে ভিড়। সামাজিক দূরত্ব তো নেই-ই, অনেকের মুখে ছিল না মাস্কও। ক্যামেরা বার করতেই এক সিভিক কর্মী লাইন ফাঁকা করার চেষ্টা করেন। ছবি: অমিত মোহান্ত
প্রচারের অভাবে প্রথম দিন ভিড় না হলেও বুধবার, দ্বিতীয় দিন ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরগুলিতে ভিড় জমল। স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা বা রেশন কার্ড নিয়ে সমস্যা মেটাতেই ভিড় হল বেশি। তবে, শিবিরে আবেদনপত্র জমা দিলেও আবেদনকারীদের প্রশ্ন থেকেই গেল, যে আদৌ কাজ হবে তো?
মালদহ
বয়সের ভারে কাজ করতে পারেন না। আবেদন করেও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা। বুধবার দুপুরে সেই আবেদন করতে লাঠিতে ভর দিয়ে ইংরেজবাজার শহরের কোঠাবাড়ি পার্কে হাজির হন সত্তরোর্ধ্ব প্রণবকুমার সাহা। তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী পূর্ণিমারও বয়স ষাট হয়ে গিয়েছে। অথচ, আমাদের দু’জনের কারও বার্ধক্য ভাতা হয়নি। আগেও একাধিক বার আবেদন করি। এ দিনও দুয়ারে সরকার-এ ফের করেছি।’’
এ দিন ভিড় জমান ১৪, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশও। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দুলাল সরকার বলেন, ‘‘শহরের প্রতি ওয়ার্ডেই দুয়ারে সরকার পৌঁছবে। মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়েছে।’’ পুরাতন মালদহ পুরসভা এবং অন্য ব্লকেও এ দিন ভিড় ছিল দুয়ারে সরকারে।
দক্ষিণ দিনাজপুর
ফর্ম পূরণে টেবিল বাড়াল ব্লক প্রশাসন। বালুরঘাট ব্লকের চকরাম হাইস্কুলে দুয়ারে সরকার শিবিরে বার্ধক্য ভাতা ও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্টলে এ দিন সকাল থেকে মানুষের ভিড় দেখা যায়। বিডিও অনুজ শিকদার বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় দিনে তফসিলি পেনশন, জয় জোহার, স্বাস্থ্যসাথী ও বার্ধক্যভাতার স্টলে বেশি ভিড় ছিল। ঠিক ভাবে তাঁরা যাতে ফর্ম ভরে জমা দিতে পারেন, সে জন্য একাধিক টেবিল চালু হয়েছে।’’ এ দিন গঙ্গারামপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে শুধুমাত্র জনগণ ও প্রশাসন থাকবে। তৃতীয় পক্ষ বলে কেউ থাকবে না।’’ জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘প্রথম দিন ৩ হাজার ১৪৬ জন মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পে পরিষেবা পেতে নাম নথিভুক্ত করেছেন।’’
উত্তর দিনাজপুর
জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রায়গঞ্জ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র হাইস্কুল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারডাঙ্গি এলাকার প্রতিবাদ ক্লাব চত্বরে এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানমঞ্চে শিবির বসে। প্রশাসনের দাবি, সব মিলিয়ে এ দিন প্রায় তিন হাজার বাসিন্দা শিবিরে ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। আবেদনকারী অনেকেরই দাবি, লকডাউন ও করোনা আবহে বিভিন্ন ব্লকের সরকারি দফতরে গিয়ে সেই সব সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy