নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ সমাবেশ। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কারের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি শুরু করল তৃণমূল। রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে জোড়াফুল শিবিরের ওই কর্মসূচি। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তৃণমূল নেতারা মুখে ‘ঘেরাও কর্মসূচি’ বললেও, সমাবেশস্থলে যে ব্যানার রয়েছে তাতে লেখা, ‘বিক্ষোভ সমাবেশ’। তৃণমূলের ওই কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক পুলিশ। নিশীথের বাড়ি যে এলাকায় সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তৃণমূলের ওই কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
সম্প্রতি কোচবিহার সফরে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে স্থানীয় যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর ডেপুটি নিশীথকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অভিষেক। এর পরেই নিশীথের ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচির ঘোষণা করে কোচবিহার তৃণমূল। সেই মতো রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ওই কর্মসূচি। তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ভেটাগুড়িতে। নিশীথের বাড়ির রাস্তা আটকানো হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড করে। সেই গলিতে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ভেটাগুড়ির বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোতায়েন পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমারসানি রাজ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির গলি এবং আশপাশে কয়েকটি রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় ড্রোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রায় পাঁচশো পুলিশ মোতায়েন। মোতায়েন র্যাফও। ’’
রবিবার সকাল হতেই জমায়েত হচ্ছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। দলের কোচবিহার জেলার সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘দলের সব নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিজের এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার। দলীয় কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবেই হবে।’’
তৃণমূলের এই আন্দোলন নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। কোচবিহারের জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলকে এই আন্দোলন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ তাদের কর্মী-সমর্থক নেই। তাদের এই আন্দোলন পুরোপুরি ফ্লপ হবে। যদি ক্ষমতা থাকে তা হলে দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘেরাও করে দেখাক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy