মৌসম নূরের নেতৃত্বে তৃণমূলের বিক্ষোভ সমাবেশ। নিজস্ব চিত্র।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মালদহের ফোয়াড়া মোড়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ সমাবেশ করলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূরের নেতৃত্বে বুধবার সকাল ১১ টা থেকে চলে এই বিক্ষোভ সমাবেশ। বিকেল ৩টেয় শেষ হয় তৃণমূলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম নূর বলেন, “কৃষি আইন কার্যকর করে কেন্দ্র সরকার কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যে কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে আলু , পেঁয়াজ-সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে পড়েছে। যে কৃষক নিজের উৎপাদিত ধান হাটে, বাজারে নিয়ে যেতেন এখন সেই কৃষকই নিজেদের ফসল স্বাধীন ভাবে বিক্রি করতে পারবেন না। এই বিল পাস করিয়ে বড় বড় পুঁজিপতিদের সুবিধা করে দিয়েছে মোদী সরকার।” তিনি আরও বলেন, “এই আইন প্রত্যাহারের জন্য দিল্লির রাজপথে কৃষকরা ধরনায় বসেছেন। একটানা বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। এ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।”
তাঁর অভিযোগ, প্রান্তিক চাষীদের কৃষি আইন সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। এর পরই তাঁর মন্তব্য, “যাঁরা দু’বেলা অন্ন জোগাড়ের জন্য হাড়ভাঙা খাটুনি করে ফসল উৎপাদন করেন তাঁদের স্বাধীনতা কৃষি আইনের মাধ্যমে কেড়ে নেওয়া হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আগামী দিনেও এই আন্দোলন জারি থাকবে।”
মৌসম ছাড়াও বুধবারের এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক রহিম বক্সী, তৃণমূলের মালদহ টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, দলের দুই মুখপাত্র শুভময় বসু, সুমনা আগরওয়াল, তৃণমূলের জেলার কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার-সহ অন্যান্যরা। প্রত্যেক নেতা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy