প্রতীকী ছবি।
আত্মীয়ের অসুস্থতার জন্য দিল্লি ছুঁয়ে দেহরাদুন যেতে হচ্ছে বলে দাবি কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারির৷ প্রকাশ্যে তাঁর এও দাবি, তিনি এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন৷ কিন্তু কালচিনির বিধায়ক বিজেপি-তে যেতে চাইছেন ধরে নিয়ে তাঁকে নিয়ে তীব্র অনীহা প্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নালিশ করলেন আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্ব। তাঁকে নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন তাঁরা৷
২০০৯ সালে কালচিনিতে বিধানসভার উপ নির্বাচনে প্রথমবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন উইলসন। ২০১১ সালেও নির্দল প্রার্থী হিসাবেই জয়লাভ করেন তিনি৷ কিন্তু পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি৷ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটেই ভোটে লড়ে জেতেন তিনি৷
কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবির পরে গত কয়েক দিন থেকে উইলসন বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন বলে চাউর হতে শুরু করে৷ গত কয়েক দিনে তাকে দলের কোন কর্মসূচি তো বটেই, এমনকি আলিপুরদুয়ারেও তাঁকে দেখা যায়নি৷ এই অবস্থায় দিন তিনেক আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মাও জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘শুনেছি, উইলসন বিজেপি-তে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন৷’’ একই সুরে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাও জানিয়ে ছিলেন, কালচিনির বিধায়ক দিল্লি থেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে তাঁদের কাছেও খবর রয়েছে৷
তবে রটনা বন্ধ না হলেও, গত তিন দিনে উইলসনের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও খবর নেই৷ বরং, রবিবার ফোনে তিনি দাবি করেন, “আমি তৃণমূলেই রয়েছি৷ এক আত্মীয়ের অসুস্থতার জন্য দিল্লির উপর দিয়ে দেহরাদুন যাচ্ছি৷” তৃণমূল সূত্রের খবর, গত দু’দিনে দলের একাধিক জেলা নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তিনি৷ কিন্তু তাতেও অবশ্য এখনই চিড়ে ভিজছে না৷
বরং উইলসন বিজেপি-তে যেতে চাইছেন বলে ধরে নিয়ে তাঁর প্রতি তীব্র অনীহা প্রকাশ করে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নালিশ করলেন তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব৷ দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “উইলসন কোথায় আছে জানি না৷ গত কয়েকদিনে উনি কোথায় কি করেছেন তার সব রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠিয়েছি৷”
সূত্রের খবর, উইলসনকে নিয়ে রটনা শুরু হতেই তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছিলেন দলেরই নেতাদের একাংশ৷
তবে দলের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “আমরাও শুনেছিলাম উনি বিজেপিতে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন৷ তবে বিধায়কের দলের যোগদানের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখেন৷ তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই হবে৷”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy