সচেতনতা: দোকানে প্লাস্টিক বিরোধী প্রচারে সৌরভ। নিজস্ব চিত্র
এ বার আলিপুরদুয়ার শহরকে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ মুক্ত করতে পথে নামলেন সৌরভ। ইতিমধ্যেই মহকুমা প্রশাসনের তরফে আলিপুরদুয়ার শহরকে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ মুক্ত করতে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারপর বিধায়কের নিজেরই পথে নামাকে স্বাগত জানিয়েছেস্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যবসায়ী মহল।
সৌরভকে শনিবার সকালে দেখা যায় শহরের বিভিন্ন দোকানে হেঁটে হেঁটে কোনও প্ল্যাকার্ড বা ব্যানার ছাড়াই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের দূষণ ও তার ব্যবহার বন্ধের প্রচার করতে। ছোট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করলে জরিমানা করবে। আপনারা তার বদলে কাগজের ঠোঙা বা পরিবেশে দূষণ ছড়ায় না, এমন ব্যাগ ব্যবহার করুন।”
সৌরভবাবু বলেন, ‘‘শুধু প্ল্যাকার্ড হাতে প্রচার করলেই প্লাস্টিক ব্যবহার কমবে না। আমাদের প্রত্যেককে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিয়ে সচেতন হতে হবে।’’
আলিপুরদুয়ার শহর ও সংলগ্ন এলাকা গুলিতে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ, থার্মোকলের থালা, গ্লাস, প্লাস্টিকের গ্লাসের আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। বিভিন্ন নর্দমা ইতিমধ্যে মূলত প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহারে ভরে গিয়েছে। বর্ষায় জল নিকাশির মূল বাধাও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ।
বিধায়কের কথায়, ‘‘শহরকে সাজিয়ে তুলতে রাজ্য সরকার কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেখানে জেলা শহরের চারিদিকে প্লাস্টিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যা দৃশ্যদূষণ। আজ, রবিবার জেলার তৃতীয় জন্মদিন আজ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ মুক্ত জেলা গড়ার।’’
বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরাও বিধায়কের এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু জানান, ‘‘বিধায়ক সৌরভের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। আমারা সকলেই সবুজ শহর গড়ার দিকে এগোবো।’’ আলিপুরদুয়ার চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে জানান, ব্যবসায়ীরাও প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ মুক্ত জেলার জন্য প্রচার চালাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy