Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

শুভেন্দুর সভার পরেও স্বস্তি ফেরেনি দাড়িভিটে

পরিস্থিতি যা তাতে এখনও দাড়িভিটে তৃণমূল পায়ের তলায় জমি খুঁজে পায়নি বলেই মনে করছে বিরোধীরা, এমনকি দলেরই একাংশ। বিশেষ করে স্কুল খোলাতে না পারা পর্যন্ত পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হবে না, তেমনটাই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বও।

শুভেন্দু অধিকারী

শুভেন্দু অধিকারী

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৯
Share: Save:

পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দুই দফায় ইসলামপুরে সভা করে গিয়েছেন। জানুয়ারিতে বিগ্রেডের সমাবেশকে উপলক্ষ করে দেওয়ালির পর পণ্ডিতপোতা ২ থেকে মিছিল করবেন বলে দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে এখনও দাড়িভিটে তৃণমূল পায়ের তলায় জমি খুঁজে পায়নি বলেই মনে করছে বিরোধীরা, এমনকি দলেরই একাংশ। বিশেষ করে স্কুল খোলাতে না পারা পর্যন্ত পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হবে না, তেমনটাই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বও। তাই স্কুল না-খোলা পর্যন্ত এখনই সেখানে যাওয়া বা কোনও সভা-মিছিলের পক্ষে নন তাঁরা। স্থানীয় নেতৃত্ব তাই জোর গলায় সেখানে যাওয়ার বা কোনও কর্মসূচির কথা বলে উঠতে পারছেন না। বরং দাড়িভিট প্রসঙ্গে ধীরে চলো নীতি নিয়েই চলতে হচ্ছে শাসকদলকে।

ঘটনার কয়েকদিন পর এলাকার বিধায়ক এবং মন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই থেকে স্থানীয় নেতৃত্ব এলাকার লোকদের সঙ্গে আলোচনা, বৈঠকের চেষ্টা করলেও এখনও তাদের পক্ষে সেটা করে ওঠা সম্ভব হয়নি। ইসলামপুরের বিধায়ক তথা পুর প্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘তৃণমূল পিছিয়ে আছে এমন কোনও কথা নেই। এলাকার মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করছি। সময় মতোই সব কিছু হবে।’’ ইটাহারের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলাসভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে আলোচনা চলছে। স্কুল খোলানোটাই আগে জরুরি। সেটা যাতে ঠিক মতো হয় দেখা হচ্ছে।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের কথায়, কালী পুজোর পর শুভেন্দুবাবু মিছিলের কথা বললেও ব্রিগেডের সমাবেশ জানুয়ারিতে। তাই মিছিল ডিসেম্বরে করার পক্ষে তাঁদের একাংশ।

এরই মধ্যে ইসলামপুরের দাড়িভিটে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্র রাজেশ সরকারের কাকাকে তলব করল সিআইডি। গত ২৫ অক্টোবর ওই মামলার তদন্তকারী সিআইডির সাব ইন্সপেক্টর যদুলাল বর্মন দাড়িভিট লাগোয়া ইসলামপুরের সুখনাভিটা এলাকার বাসিন্দা নিহত রাজেশের কাকা কৃপানাথ সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছেন। কৃপানাথবাবুকে ৩ নভেম্বর বেলা ১১টায় ইসলামপুর থানায় হাজির হয়ে যদুলালবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। যদুলালবাবুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, ‘‘সিআইডি দাড়িভিটে দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে খুনের ঘটনার তদন্ত করছে। যা বলার তারাই বলবেন।’’ রাজেশের বাবা নীলকমলবাবুর অবশ্য দাবি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সিআইডি তলব করেছে। কিন্তু তাঁরা সিআইডির সঙ্গে দেখা করবেন কি না, সেই ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি।

সিআইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, গোলমালের দিন রাজেশকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর কাকা কৃপানাথবাবুই উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কৃপানাথবাবুকে তলব করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE