প্রতীকী ছবি।
দলীয় অফিসে ডেকে এনে নেতাদের দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে কাটমানি। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের তরফে নেওয়া হয়েছে এমনই পদক্ষেপ। দল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৪ জন জেলা নেতাকে ফেরানো হয়েছে ‘কাটমানি’। দলের একটি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বাসিন্দারা ফেরত পেয়েছেন। জেলা তৃণমূল জানিয়েছে, যে নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দলীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, তাঁদেরকে দিয়েই ঠাকা ফেরানো হয়েছে। ওই নেতাদের জেলা কমিটিতেও রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়েকজন নেতা শাখা সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন বা রয়েছেন। তাঁদেরকেও পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
‘দিদি কে বলো’-তে এখনও পর্যন্ত প্রায় বারোশো অভিযোগ জমা পড়েছে। যার মধ্যে সাতশো অভিযোগ তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেগুলি খতিয়ে দেখে রাজ্যকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। গত লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূলনেত্রী নিজেই কাটমানি ফেরাতে বলেছিলেন দলের নেতাদের একাংশকে। তারপরেই রাজ্য জুড়ে কাটমানি ফেরানোর দাবি ওঠে। জলপাইগুড়িতেও শুরু হয় আন্দোলন। পরে জেলা তৃণমূলই পদক্ষেপ শুরু করে। প্রতিটি অভিযোগের দলীয় তদন্ত শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।
দলের এক শাখা সংগঠনের জেলা নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে পাহাড়পুরের বাসিন্দাদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কারও থেকে ৫০ হাজার কারও থেকে ১ লক্ষ অগ্রিম নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, একজন টাকা দিয়ে ওই নেতাকে দিয়ে কাগজে লিখিয়ে নিয়েছিলেন। সেই কাগজ পৌঁছয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। অভিযুক্ত নেতাকে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ানো হয়েছে বলে দাবি। জলপাইগুড়ির আরেক নেতা সরকারি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অন্তত ৫ জনের থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার বদলে ধার নেওয়া হচ্ছে বলে কয়েকজনকে টাকা নেওয়ার কথা লিখে দিয়েছিলেন ওই নেতা। সেই কাগজের ওপর ভিত্তি করে ওই নেতাকে পার্টি অফিসে ডেকে টাকা ফেরত দেওয়ানো হয়েছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কথায়, “অন্য অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বকে জানানোও হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy