ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই উপনির্বাচন। বৃহস্পতিবার দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের নির্বাচনী এজেন্ট পার্থপ্রতিম রায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, উপনির্বাচনের দু’দিন আগে বিএসএফের ডিআইজির সঙ্গে বিজেপির রাজ্য ও জেলা নেতাদের বৈঠকের পিছন কোনও ‘চক্রান্ত’ রয়েছে। পরে পার্থ বলেন, “বিধানসভার ভোটে আধা সামরিক বাহিনীর গুলিতে চার জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। এমন ঘটনা আর কোনও ভাবেই যাতে না ঘটে, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। সে কথা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, বিএসএফের এক্তিয়ার পনেরো কিলোমিটার থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার করা হয়েছে। উপনির্বাচনে ‘খারাপ’ উদ্দেশ্য নিয়ে তা ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
দিনহাটা বিধানসভার বেশির ভাগ এলাকা বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন। সীমান্তের একাধিক জায়গায় বিএসএফের আউটপোস্ট রয়েছে। তার ধারে কাছে রয়েছে একাধিক বুথ। দিনহাটা শহরও সীমান্ত থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে। উপনির্বাচনের কাজে ২৭ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জওয়ানরা পৌঁছে গিয়েছে বিধানসভা এলাকায়। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রত্যেক বুথে জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে।
সূত্রের খবর, শেষ সময়ে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন এবং নির্বাচনী এজেন্ট পার্থপ্রতিম বাছাই করা কিছু কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বুথে নজরদারির দায়িত্ব তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছাপ যাতে কোনও ভাবেই ভোটবাক্সে না পড়ে, তা নিয়েও কর্মী-সমর্থকদের চলছে সতর্ক করার পালা। উদয়ন গুহ বলেন, “রেকর্ড ভোটে জয় হবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy