এলাকায় বোমাবাজি । নিজস্ব চিত্র।
আবার অশান্ত কোচবিহারের শীতলখুচি। রবিবার শীতলখুচি বাজারে বিজেপির মিছিলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। মুহুর্মুহু বোমাবাজিতে কেঁপে উঠল এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, তাদের ‘চোর ধরো, জেলে ভরো’ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। বিনা প্ররোচনায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। অন্য দিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তবু ওই মিছিল ঘিরে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সোমবার শীতলখুচি বাজারে বিজেপির কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, সে সময় আচমকা হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অন্য দিকে, বিজেপির মিছিল থেকে কয়েক জনকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা। এর পর একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ উল্টে তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
এ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘শীতলখুচি থেকে সিতাই— এ সব উপদ্রুত এলাকা।’’ তিনি আঙুল তোলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী উদয়ন গুহের দিকে। বলেন, ‘‘ওঁর বিধানসভা এলাকা সব সময় উপদ্রুত এলাকায়। যত বার আমি ওই এলাকায় গিয়েছি, তত বার হামলা হয়েছে। তার পর আপনারা দেখেছেন নির্বাচনে গুলি চলেছে। উপনির্বাচনেও ঝামেলা হয়েছে। ওখানে কোনও গণতন্ত্র নেই।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘বাংলাদেশ থেকেও অবৈধ ভাবে লোক ঢুকে ঝামেলা পাকায় ওখানে।’’
অন্য দিকে, মন্ত্রী উদয়ন গুহের দাবি, এই অশান্তিতে কোনও ভাবেই তৃণমূল যুক্ত নয়। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মালবাজারে এসেছেন। আমরা সবাই মালবাজারে রয়েছি। সেখানে কর্মীরা এমন বোকা নয় যে, নেতার আগমনের সময় ঝামেলা করবেন।’’ পাশাপাশি দিলীপকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘উনি তো হস্ত বিশারদ। কপাল দেখেও অনেক কথা বলেন। তবে এ কথা বলতে পারি, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির একাধিক গোষ্ঠী। নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা পাকিয়েছে ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy