Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে এ বার ধৃত নাবালক

তদন্তে নেমে কালুয়ার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সেখানেই ওই নাবালক ও আরেক যুবকের নাম উঠে আসে। মাটিগাড়ার এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল ওই কিশোর। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৩:২৩
Share: Save:

টিকিয়াপাড়ায় খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ বার গ্রেফতার হল এক নাবালক। পুলিশ জানিয়েছে, সে নিহত যুবকের বন্ধু। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ মাটিগাড়ার বিআর কলোনি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরের বাড়ি টিকিয়াপাড়াতেই। দুই মাইল এলাকায় একটি ভবনে সে সাফাইওয়ালার কাজ করে। একটি মোবাইল বিক্রির ঘটনাকে ঘিরে গোলমালের জেরেই খুনের ঘটনা ঘটে। গত সোমবার বিকালে টিকিয়াপাড়ার পরিত্যক্ত রেলের আবাসনে স্থানীয় যুবক কালুয়া রাউতকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তদন্তে নেমে কালুয়ার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। সেখানেই ওই নাবালক ও আরেক যুবকের নাম উঠে আসে। মাটিগাড়ার এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল ওই কিশোর। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার রাতে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা জানান, নেশায় ঠেকে গোলমাল হয়। ওই কিশোর পাথর দিয়ে কালুয়ার মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। জেরায় অভিযুক্ত দোষ কবুল করেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি ডাকাতির চেষ্টার মামলায় জেল খেটে বার হয়েছিল কালুয়া। বাইরে এসেই পুরনো বন্ধুদের নিয়ে ঘোরাফেরা শুরু করে। ঘটনার দিন দুপুরে ওই কিশোরের দু’ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন কালুয়া নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরেই কালুয়াকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে ওই কিশোর ও তার আরেক বন্ধু। সেখানে ওই কিশোর ও কালুয়ার বচসা হয়। পরে তা মিটেও যায়। আরেক যুবক চলে যেতেই দুই জন ফের নেশা করে গোলমাল শুরু করে। তখনই কালুয়ার মাথায় পাথর দিয়ে ওই নাবালক আঘাত করে বলে অভিযোগ।

রাতে থানায় ওই নাবালক বলে, ‘‘নেশার ঘোরে ছিলাম। আমরা মোবাইলটা কালুয়া নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল। রাগ হওয়ায় মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করি। মরে যাবে বুঝতে পারিনি।’’ রাতে অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করেন এসিপি অচিন্ত্য গুপ্ত এবং আইসি দেবাশিস বসু। তদন্তকারীরা জানান, কালুয়ার মা উড়ালপুলের নিচে গত মে মাসে গোপাল ঘোষ ওরফে বাউ-এর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। ওই খুনের সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র মেলেনি। পুলিশ কমিশনার জানান, তবুও আমরা তদন্ত করছি। অভিযুক্ত একাই ছিল না কি আরও কেউ ছিল তা দেখা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE