—প্রতীকী চিত্র।
কোচবিহারের মাথাভাঙায় ‘রাত দখলের’ কর্মসূচিতে অশান্তি ও হামলার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই জানান, আজ, বৃহস্পতিবার তাদের মাথাভাঙা আদালতে তোলা হলে জামিন দেওয়া হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, ধৃতেরা তৃণমূল কর্মী। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেছেন, “বুধবারের কর্মসূচি অরাজনৈতিক ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও দোষীদের শাস্তির কথা বলেছেন। সে কথাটাই আন্দোলনকারী শিল্পীরা বললে হামলা কেন হবে?” জবাবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “রাস্তায় তিলোত্তমার ছবি আঁকা হয়। তার নীচে চটি এঁকে ‘চটি চাটা’ লেখা হয়। এটা আন্দোলনের ভাষা? আন্দোলনের নামে প্ররোচনা। সিপিএম এর জন্য দায়ী।”
এর সমালোচনা করে বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘মাথাভাঙায় প্রতিবাদী মানুষের উপরে তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়ের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সমস্ত দায়ভার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য দাবি করেন, অশান্তির ভিডিয়োতে যাঁকে দেখা গিয়েছে, সেই ব্লক সভাপতি ঘটনার পরে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের কেউ জড়িত এতে নন। শুভেন্দুর এ-ও অভিযোগ, কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য আগে থেকেই জানতেন গোলমাল হবে। এই বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি পুলিশ সুপার। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘কোচবিহারে প্রতিবাদীদের উপরে হামলা আমরা সমর্থন করি না।’’
বুধবার রাতে আর জি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে মাথাভাঙা চৌপথিতে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী ও ভারতীয় গণনাট্য সংঘের তরফে প্রতিবাদ সভা হয়। রাস্তায় ছবি এঁকে প্রতিবাদ জানান শিল্পীরা। অভিযোগ, ওই ছবি ঘিরে বিবাদের জেরে প্রদ্যুৎ সাহা নামে এক বামপন্থী নাট্যকর্মীকে মারধর করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মুছে দেওয়া হয় ছবিটিও। এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি আহত নাট্যকর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy