প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র
আর ক’দিন পরেই জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাচন। তার আগে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার চালানোর জন্য তৃণমূলের টিম তৈরি করে দেবে প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) টিম। সূত্রের খবর, রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা নেই এমন কোনও ব্যক্তিকে দলে টেনে আনা হবে না। বরং তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে যাঁরা দলে ছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকেই বেছে নিচ্ছে পিকের টিম। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখন যাঁরা দলে সক্রিয় তাঁরা যেমন ওই টিমে থাকবেন। তেমনি আগে সক্রিয় ছিলেন এখন নানা কারণে ‘বসে গিয়েছেন’ তাঁরাও থাকবেন। প্রতি ওয়ার্ডে অন্তত পাঁচজন করে পুরনো মুখ সামনে আনার কৌশল নিয়েছে পিকের টিমের। ওয়ার্ড ধরে ধরে পুরনো নেতাদের একাংশের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে টিম পিকের। পুরনো কর্মীদের মধ্যে যাঁদের বয়স ৫০ এর নীচে, তাঁরাই পিকে-র টিমের লক্ষ্য। রায়কতপাড়া, নেতাজি পাড়া, আদরপাড়া, শান্তিপাড়া, বোসপাড়া, পান্ডাপাড়ার মতো পাড়াগুলিতে একাধিক ক্লাব রয়েছে। সেগুলি নিয়মিত খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। এই ক্লাবগুলির
সক্রিয় সদস্যদের অনেকেই একসময়ে ডানপন্থী রাজনীতিতে ছিলেন।তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে পিকে-র দল।
সম্প্রতি পিকে-র টিমের ফোন পেয়েছিলেন একসময়ে ছাত্র পরিষদের লড়াকু নেতা। তৃণমূল তৈরির সময় থেকে তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন। নন্দীগ্রামের ঘটনার সময় জলপাইগুড়ি শহরে তৃণমূলের মিছিল-অবরোধে সেই নেতাকে চড়া মেজাজে দেখা যেত। যে কোনও সময়ে ভিড় জোগাড় করতে দক্ষ এই নেতার ভাবমূর্তিও স্বচ্ছ। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার বছর দুয়েক পরে রাজনীতি থেকে সরে যান তিনি। তাঁকে ফোন করে পিকের টিমের প্রতিনিধি জানতে চেয়েছেন, কেন তিনি তৃণমূলে সক্রিয় নন? আগামী পুরভোটে দলের হয়ে কাজ করতে আপত্তি রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। তৃণমূলের প্রচারে সক্রিয় হতে তাঁর কোনও শর্ত রয়েছে কিনা তাও জানতে চায় পিকের টিম।
বাম আমলে যে তৃণমূল নেতাদের নামে পুলিশে একাধিক মামলা হয়েছিল, তাঁদেরও খুঁজে বের করছে পিকে-র টিম। শহরের একাধিক পুরনো তৃণমূল কর্মীদের বাড়িও গিয়েছে পিকে-র দল। সকলের কাছেই প্রশান্ত কিশোরের টিম অনুরোধ জানাচ্ছে আগামী পুরভোটে দলের হয়েপ্রচারে নামতে।
জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “যতদূর বুঝেছি পিকে-র টিমের কৌশল হল নতুন যাঁরা আছে তাঁদের সঙ্গে পুরনোদেরও প্রচারে নামাতে। দলের অনেক ভোটার যাঁরা বীতশ্রদ্ধ হয় গত লোকসভায় অন্যত্র ভোট দিয়েছে, তাঁদের ভোট দলের বাক্সে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।”
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কথায়, “বহু পুরনো নেতা-কর্মী যাঁরা বসে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফের চাঙ্গা হচ্ছে। এটা দলের পক্ষে যথেষ্ট ভাল লক্ষণ। পুরভোটে তাঁরা সবাই দলের হয়ে কাজও করবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy