স্কুল থেকে পরামর্শের অভাবে রাইটার ছাড়াই পরীক্ষা দিলেন পতিরামের ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতাযুক্ত এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। একাই পরীক্ষার হলে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ঘটনার কথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছতেই, ১০ মিনিটে রাইটার নিয়ে লেখার অনুমতি পায় সুমিত কুমার কুণ্ডু। তাঁর বাবার অভিযোগ, পরীক্ষার আগে স্কুলে যোগাযোগ করলে বলে দেওয়া হয়, প্রতিবন্ধকতা থাকলে ৪৫ মিনিট এমনিতেই বাড়তি পাবে। আলাদা করে রাইটার দেওয়ার সুযোগ নেই। যদিও পর্ষদের জেলা প্রতিনিধিদের দাবি, রাইটারের আবেদন করেননি ওই ছাত্রের পরিবার।
ছোট থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বড় হয়েছেন পতিরাম হাইস্কুলের ছাত্র সুমিত। ২০১২ সালে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতার শংসাপত্রও পান তিনি। এর আগে স্কুলের পরীক্ষাতেও সুমিত কুণ্ডু নামে ওই ছাত্রকে রাইটার দিয়েই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষায় কয়েক ঘণ্টা ওই ছাত্রকে একাই লিখতে হল।
কেন? তাঁর বাবা তথা পেশায় ব্যবসায়ী সুশীল কুণ্ডুর দাবি, পরীক্ষার আগে স্কুলে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছিলেন, এ রকম ক্ষেত্রে তাঁর ছেলে সঙ্গে রাইটার নিয়ে পরীক্ষার দেওয়ার সুযোগ পাবে কি না। তাঁর দাবি, স্কুল থেকে বলা হয়, পাবে না। বাহিচা হাইস্কুলে তার সিট পড়ে। সোমবার পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় সুমিতের বাবা সুশীলকে। তিনি বলেন, ‘‘স্কুল সঠিক পরামর্শ দিলে আমরা আবেদন করতাম। ছেলেকে কয়েক ঘণ্টা এ ভাবে একা লিখতে হত না।’’
পতিরামের ওই ছাত্রের সঙ্গে এক জন রাইটার হিসেবে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজিরও হয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে তা সম্পর্কে কোনও তথ্য না থাকায় বিধি মেনেই সুমিতের ওই রাইটারকে অনুমোদন দিতে পারেনি। ঘটনার খবর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কানে যায়। তিনি বলেন, ‘‘দেখছি। ওই ছাত্রের তো রাইটার পাওয়ার কথা।’’ ঠিক তার ১০ মিনিটের মাথায় সুমিতের বাবার মোবাইলে ফোন আসে। জরুরি ভিত্তিতে একজন রাইটারকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে বলা হয়। হঠাৎ অনুমোদনে রাইটার খুঁজতেও কিছুটা সময় যায়। পরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে সুমিতের সাহায্যে খুঁজে আনে তাঁর পরিবার। পতিরাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ অধিকারী। তিনিই জেলায় পর্ষদের আহ্বায়ক। কেন আগে থেকে ব্যবস্থা করা গেল না? তাঁর দাবি, স্কুল থেকে এ রকম ওই ছাত্রের পরিবারকে বলা হয়েছিল কিনা তা খোঁজ নেবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আবেদনের ভিত্তিতে রাইটার দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ছাত্রের পরিবার আবেদন করেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy