কোচবিহার মহিলা কলেজে প্রথম নির্বাচনের আগের দিন চলছে প্রস্তুতি। ছবি:নিজস্ব চিত্র
কলেজের সামনে তৈরি হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। টাঙানো হয়েছে মাইক। কলেজে ঢোকার মুখেই প্রার্থীদের পোস্টারে ছয়লাপ।
সব মিলিয়ে সাড়ে তিন দশকের ঐতিহ্য ভেঙে প্রথম বারের ভোটে সাজ সাজ রব কোচবিহার ঠাকুর পঞ্চানন মহিলা কলেজে। আজ, শুক্রবার জেলার অন্য কলেজগুলির সঙ্গে ওই মহিলা কলেজেও ভোট নেওয়া হবে। কলেজ সূত্রের খবর, ওই কলেজের ৩০টি আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে আটটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি। বাকি আসনগুলিতে ডিএসও নেতৃত্বাধীন মঞ্চের সঙ্গে ভোট হবে টিএমসিপির। কলেজের অধ্যক্ষা মঞ্জরী বিশ্বাস বলেন, “সবাই কালকের অপেক্ষায়।” কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, এতদিন ওই কলেজে সর্বসম্মত ভাবে প্রতিনিধি বেছে নেওয়া হতো।
পাশাপাশি ওই দিন কোচবিহারে আরও পাঁচটি কলেজে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে কোচবিহার শহরর দু’টি কলেজ এবিএনশীল ও কোচবিহার কলেজ এবং মাথাভাঙা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠী প্রার্থী দিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন কড়া নজর রাখছে। কলেজের দু’শো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কলেজে ঢোকার মুখে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করেই ছাত্রছাত্রীদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেবে পুলিশ। বহিরাগতরা যাতে কোনও ভাবে কলেজের আশেপাশে কোনও জমায়েত করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই টিএমসিপির দুই পক্ষ একে অপরকে হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলতে শুরু হয়েছে।
এক পক্ষের নেতা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোচবিহার জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, “পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যেমন নির্দেশ দেবেন, সে হিসেবে কাজ হবে।” আরেক পক্ষের নেতা টিএমসিপির কার্যকরী সভাপতি সায়নদীপ গোস্বামী বলেন, “আমাদের প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে।” তিনি জানান, তাঁরা পুলিশকে সমস্ত অভিযোগ জানাচ্ছেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “কোনও অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy