মজুরি বাড়ল চা বাগানের শ্রমিকদের। প্রতীকী ছবি।
চা-বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। এ বার একলাফে ১৮ টাকা বাড়ানো হল দৈনিক মজুরি। আগে শ্রমিকদের মজুরি ছিল দৈনিক ২৩২ টাকা। এখন তা বেড়ে হল ২৫০টাকা। বুধবার শিলিগুড়ির স্টেট গেস্ট হাউসে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ কথা জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। যদিও এই মজুরি বৃদ্ধিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দেখনদারি’ বলে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।
রাজ্যের তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে বেশ কয়েক বার চা-বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। ন্যূনতম মজুরি নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। বৈঠকও হয়েছে অন্তত ১৭ বার। কিন্তু সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তার মধ্যেই শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বুধবার রাজ্য শ্রম দফতর চা-বাগানের মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে। সেখানেই মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন মলয়। ন্যূনতম মজুরি চালুর বিষয়টি ঝুলে থাকায় বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে হইহট্টগোলও হয় বৈঠকে। পাশাপাশি বিরোধীদের দাবি, বাগানের জমি কোনও বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে ‘বিরোধীপক্ষ’ জয়েন্ট ফোরামের তরফে জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি চালু না করতে পেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে। এটা দেখনদারি ছাড়া কিছুই নয়। আমরা বলেছি, অবিলম্বে ন্যুনতম মজুরি চালু করতে হবে। কিন্তু সরকারপক্ষ আমাদেরকেই দায়ী করে। মনে রাখতে হবে, এটা ত্রিপাক্ষিক বিষয়। আমরা একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’’
তার প্রেক্ষিতে শ্রমমন্ত্রী মলয় বলেন, ‘‘আমরা ন্যুনতম মজুরি দিতে প্রস্তুত। বিরোধীদের নিয়ে যে ন্যুনতম মজুরির কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বৈঠকে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানাক। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ন্যুনতম মজুরি চালু করে দেব। তবে ১৮ টাকা বৃদ্ধি পেলেও ন্যুনতম মজুরি নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে, তা চলতেই থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy