মঞ্চে: ময়নাগুড়িতে তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে পড়লে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। নিজস্ব চিত্র
দলে যোগ দিতে আসা কর্মীদের ভিড়ের চাপে ভেঙে গেল তৃণমূলের সভামঞ্চের একাংশ। অনুষ্ঠান চলার সময়ই মঞ্চের মাঝখানের অংশ মড়মড় করতে করতে বসে যায়। মঞ্চে তখন ছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের নেতারা। নিরাপত্তা কর্মীরা নেতাদের দু’দিকের কোণায় নিয়ে যান। ভাঙা মঞ্চেই বিজেপি থেকে আসা নেতা-কর্মীদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা দেওয়া চলতে থাকে। অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা হলেও মঞ্চ ভাঙায় তৃণমূল নেতাদের অনেকেরই মুখে হাসি। লোকসভা ভোটের পর জেলা জুড়েই মিছিলে লোক জোগাড় করতেই নাকাল হচ্ছিলেন নেতারা। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের ভিড়ে মঞ্চ ভাঙাতেই আশার আলো দেখছেন অনেকে।
ময়নাগুড়ির জল্পেশ মোড়ের সভা মঞ্চে দলে যোগদান করেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিতে চলে যাওয়া শিবশঙ্কর দত্ত। তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটিরও প্রথম প্রকাশ্য সভা ছিল এটিই। শিবশঙ্করের সঙ্গে একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক এসেছিলেন। এ দিনের মঞ্চ থেকেই জেলার নতুন সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী শিবশঙ্করকে ময়নাগুড়ি ২ ব্লকের সভাপতি ঘোষণা করেন। সভার দর্শকাসনও ছিল ভিড়ঠাসা। যে দেখিয়ে অরূপ বিশ্বাসের মন্তব্য, “আগামী বিধানসভায় আমরা ময়নাগুড়ি জিততে চলেছি।”
গত মঙ্গলবার তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি করা হয়েছে কৃষ্ণকুমারকে (কিষাণ)। পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি তিনিই গড়বেন। কিষাণবাবু এ দিন জানিয়েছেন, জেলার প্রতিটি ব্লকে একটি করে কোর কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটি এলাকার প্রতিটি বাড়ি দিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন। পুজোর আগে সব ব্লকে সম্মেলন হবে। কিষাণবাবুর কথায়, “প্রতিটি ব্লকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
কিন্তু মঞ্চ ভাঙল কেন? এক নেতার কথায়, ভাবা হয়েছিল মঞ্চে এক সঙ্গে একেক বারে দশ-পনেরো জনের বেশি থাকবেন না। সেখানে উঠে গিয়েছিলেন ষাট-পঁয়ষট্টি জন। তাতেই মঞ্চ ভার নিতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy